প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত উপকারী খাদ্যের মধ্যে মধু অন্যতম। হাজার বছর ধরে এটি মানুষের নিকট একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। ধারণা করা হয় যে, প্রাচীন মিশরীয়রা সর্বপ্রথম মধুকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করার প্রচলন শুরু করে। এর হাজার বছর পর আজ এটি শুধু খাদ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি! সময়ের পরিক্রমায় মানুষের নিকট গুরুত্বপূর্ণ ঔষধে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সময়ে মধু যেমন খুব দামী তেমনি বেশ চাহিদা সম্পন্ন। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের নিকট মধু একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য। বিভিন্ন প্রকার ফুল থেকে সংগৃহীত মধুর উপকারিতা, মধুর ব্যবহার ও মধু সেবনের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তথ্য সূচী দেখুন
Toggleমৌমাছিরা বিভিন্ন ফুলের পরাগ রেণু থেকে মধু সংগ্রহ করে সেগুলো মৌচাকে একত্রিত করে। সে জমানো মধু মৌয়ালদের মাধ্যমে সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রক্রিয়াকরণ ছাড়া দু-ভাবেই বাজারজাত করা হয়। মধুতে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় বেশকিছু খাদ্য উপাদান রয়েছে। যুগে যুগে মধুর নানা প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারের কারণে বিশেষজ্ঞরা একে সোনালি তরল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ৩০৪ ক্যালরি। এছাড়া মধুতে আরো রয়েছে ৮২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৪ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৫২ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ০.৩ গ্রাম প্রোটিন, ২% লৌহ ও ৮২ গ্রাম চিনি। মধুতে কোনোপ্রকার চর্বি ও কোলেস্টেরল নেই। আর এতে যে চিনি থাকে তা একেবারেই প্রাকৃতিক।
মধুর উপকারিতা
মধু একটি উপকারী তরল খাদ্য। মধু সেবনে বিভিন্ন ধরণের জটিল রোগবালাই থেকে সহজে আরোগ্য লাভ করা যায়। দেহে তাপ ও শক্তি উৎপাদন করার প্রয়োজনীয় উপাদান থাকার কারণে শীতপ্রধান দেশে মধু খুবই জনপ্রিয়। কারণ বছরের নির্দিষ্ট কিছু সময় তাপমাত্রা যখন হিমাঙ্কের নিচে নেমে যায় তখন মধু শরীরে তাপ ও শক্তির যোগান দেয়। এতে করে সেখানকার মানুষ তীব্র শীতেও সুস্থ থাকতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের রোগের জন্য মধু খুবই উপকারী। এতে প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে যা খুব সহজেই খাবার হজমে সহায়তা করে। এতে থাকা ডেক্সট্রিন খাওয়ার পর খুব অল্প সময়ে রক্তে প্রবেশ করে মানবদেহে হজমক্রিয়া শুরু করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য এবং খাবারদাবার হজমে সমস্যা তারা মধু সেবনে উপকার পেতে পারেন।
মধুতে কোনোপ্রকার চর্বি ও কোলেস্টেরল না থাকায় এটি সেবনে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়াও যাদের অনেক আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট রয়েছে তারাও মধু সেবনে উপকার পেতে পারেন। মধুতে থাকা ক্যালসিয়াম মানবদেহের হাঁড় গঠনে সহায়তা করে। আর এই ক্যালসিয়াম মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। মধু ব্যাতিত পৃথিবীতে বিদ্যমান খুব কম প্রাকৃতিক খাদ্য থেকে সৌন্দর্য বৃদ্ধির গুণাগুণ পাওয়া যায়।
দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার কারণে মানুষ দুশ্চিন্তায় ও অনিদ্রায় ভোগেন। ঘুমানোর পূর্বে মধু সেবনের ফলে এই অনিদ্রা দূর হয়।এছাড়াও যাদের যৌন দুর্বলতা রয়েছে তারাও মধু সেবন করতে পারেন। যেসকল পুরুষরা যৌন দুর্বলতায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন ছোলার সঙ্গে মধু সেবনে ভালো ফলাফল পেতে পারেন। যৌন রোগের প্রাকৃতিক ঔধের মধ্যে মধু এখন অবধি সবচেয়ে বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
খালি পেটে মধুর উপকারিতা
মধু সেবনের কয়েকটি বিশেষ নিয়মের মধ্যে খালি পেটে সেবনের নিয়মটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর। খুব সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে এক চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যায়। এই প্রক্রিয়ায় নিয়মিত মধু সেবন করলে শরীরের বিষাক্ত উপাদানগুলো বের হয়ে যায়, লিভার পরিষ্কার হয় এবং মেদ গলে বেরিয়ে আসে।
সকালে খালি পেটে মধু সেবনে আরো নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা স্থায়ীভাবে সর্দি, কাশি, কফ ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত তারা উপকৃত হবেন। ভালো ফল পাওয়ার জন্য প্রতিদিন সকালে মধু সেবন চালিয়ে যেতে হবে। এছাড়াও বদহজম কিংবা ভারী খাবারে যাদের সমস্যা হয় তারা খাবারের পূর্বে এক চামচ মধু সেবন করলে বদহজম থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
পুরাতন মধুর উপকারিতা
পুরাতন মধু বলতে এক বছর কিংবা তার পূর্বে সংগৃহীত মধুকে বোঝায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নতুন কিংবা কাঁচা মধুর থেকে ও পুরাতন মধু বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তবে পুরাতন মধু হৃদরোগ এবং শ্বাসকষ্টে আক্রান্তদের জন্য বেশি উপকারি। এছাড়াও এটি বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকা পুরুষদের নানাবিধ উপকার করে।
কাঁচা মধুর উপকারিতা
মৌচাক থেকে সংগ্রহ করার পর যে মধু পাওয়া যায় সেটিই কাঁচা মধু (Row Honey)। মধু মৌচাক থেকে সংগ্রহের পর কয়েকটি ধাপে বোতলজাত করা হয়। প্রক্রিয়াজাত মধু থেকে ও কাঁচা মধু বেশি বেশ তাজা হয়ে থাকে। যার কারণে এতে বিশেষ কিছু প্রতিষেধক ও উপকার পাওয়া যায়। আদা কিংবা লেবুর রসের সঙ্গে কাঁচা মধু মিশ্রিত করে খাওয়ার কারণে অ্যাসিডিটি কমে যায়। এছাড়াও বমি বমি ভাব দূর হয় এবং শরীরে তাপ সঞ্চান সঞ্চালনে বৃদ্ধি ঘটে। গর্ভবতী নারীদের গর্ভধারণের প্রথম অবস্থায় কাঁচা মধু সেবনের পরামর্শ দেয়া হয়।
রূপচর্চায় মধুর ব্যবহার
ঔষধ হিসেবে মধু যেমন খুব কার্যকর তেমনি নারীদের রূপচর্চায়ও মধুর ব্যাপক কার্যকারিতা লক্ষ্য করা যায়। কৃত্রিম প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে যখন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে শুরু করেছিলো ঠিক তখনি গবেষকরা রূপচর্চায় মধুর উপকারিতা প্রমাণ করেন।
লাবণ্যময় চেহারার জন্য মধু বেশ উপকারি। প্রতিদিন এক চামচ মধু মুখে মেখে ১০ মিনিট রাখলে ত্বক সহজেই আর্দ্র হয়না এবং চেহারার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। আর এই কাজটি নিয়মিত করলে দীর্ঘ মেয়াদি ফল পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও মধুতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বা জীবাণুনাশক উপাদান মুখের ব্রণ ও কালচে ভাব দূর করে। আর এই সুফল পাওয়ার জন্য এক চামচ মধু ও নারিকেল মিশিয়ে মুখে লাগালে ভাল ফল পাওয়া যায়।
চুলের যত্নে মধুর উপকারিতা
বর্তমানে চুলের যত্নেও মধুর ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়েছে। চুলের জন্য উপকারী বেশকিছু উপাদান সঠিক মাত্রায় মধুতে বিদ্যমান থাকায় আজকাল কয়েকটি নামিদামি শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য মধু ব্যবহার করছে। মধুতে থাকা পুষ্টিগুণ নিস্তেজ চুলকে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত করে তোলে। দুই চা চামচ মধু পরিমাণমত নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে মাখিয়ে ২০ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে কন্ডিশনারের সুফলও পাওয়া যায়। এছাড়াও মধুতে থাকা গ্লুকোজের কারণে চুলের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায়। প্রাকৃতিকভাবে চুলের নানাবিধ যুত্নে মধুর থেকে বেশি উপকারি উপাদান দ্বিতীয়টি এখন অবধি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
চায়ের সাথে মধুর উপকারিতা
দৈনন্দিন জীবনে আমরা প্রায় সবাই কমবেশি চা পান করে থাকি। আর এই চা যেমনই হোক তাতে মিষ্টি স্বাদ না হলে যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। চায়ে মিষ্টতা আনতে আমরা সব চেয়ে বেশি ব্যবহার করি চিনি। আর এতেই বিপত্তি ঘটে! কারণ নিয়মিত চিনি গ্রহণ করায় দিন দিন ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের হার বাড়ছে। ফলে বিশেষজ্ঞরা বরাবরই চায়ে চিনি পরিহার করার পরামর্শ দেন। তবে একাধিক গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায়, চায়ে মিষ্ট স্বাদ পেতে চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার নিরাপদ।
এক কাপ গরম চায়ে পরিমাণমত মধু মিশ্রিত করে পান করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালনে উন্নতি ঘটে। এছাড়াও পুরাতন কাশি থাকলে তা সেরে যায়। বিশেষ করে গ্রিন টি বা হার্বাল টি এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে মানবদেহের ভোকাল কর্ড বা স্বরতন্ত্রী সবসময় নিরাপদ থাকে।
তবে চায়ের সঙ্গে মধু সেবনে শরীরের কোষগুলো সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়। কারণ মধুতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টস ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাধা প্রদান করে। শুধু ক্যান্সারই নয়, আরো কয়েকটি মারাত্মক রোগও প্রতিরোধ করে চা এবং মধুর মিশ্রণ। চিনিতে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও মধুতে এমন ঝুঁকি নেই। হাজার বছর ধরে চায়ে চিনির পরিবর্তে মধুর ব্যবহার হয়ে আসছে।
ধারনা করা হয়, খ্রিস্টপূর্ব ২৭৩৭ সালে চীনা সম্রাট কাসান নুঙ্গের সময় থেকে চায়ে মধু মেশানোর প্রচলন শুরু হয়। পরে এই পদ্ধতি চীন, জাপান থেকে আস্তে আস্তে ভারতীয় উপমহাদেশে ছড়িয়ে পরে। যদিও আধুনিক যুগে চিনি সহজলভ্য ও সস্তা হওয়ায় চায়ে চিনির ব্যাবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গবেষকদের মতে খুব শীঘ্রই চায়ে চিনির ব্যবহার সীমিত পর্যায়ে আনা জরুরি। নতুবা হৃদরোগ, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিকস জাতীয় রোগির সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে। আর চায়ে চিনির বিকল্প হিসেবে মধু হতে পারে সর্বোত্তম।
সরিষা ফুলের মধুর উপকারিতা
সহজলভ্য মধুর মধ্যে সরিষা ফুলের মধু অন্যতম। কারণ বর্তমানে যেসকল দেশে বাণিজ্যিকভাবে মধু উৎপাদন হচ্ছে, প্রায় সবখানেই সরিষার চাষকেই কাজে লাগানো হচ্ছে। আর এই সরিষা ফুল থেকে প্রাপ্ত মধুর ঘ্রাণ এবং স্বাদ এক কথায় অসাধারণ। বিশেষ করে সরিষা ফুলের কাঁচা মধু। এতে পাকস্থলীর ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য কিছু বিশেষ উপাদান মিশ্রিত থাকে। এছাড়াও সরিষা ফুলের মধু পেশীতে বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করলে আঘাতের ব্যাথা কিংবা সাধারণ যে কোনো ব্যাধা উপশম হয়।
কালোজিরা ফুলের মধুর উপকারিতা
কালোজিরা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারি একটি মশলা দানা। নানানপ্রকার ভেষজগুণ সম্পন্ন হওয়ায়, এর ব্যবহার রান্না ঘর ছাপিয়ে ঔষধালয়েও সুপ্রসিদ্ধ। শরীরের অভ্যন্তরীণ রোগবালাই নিরাময়ে কালোজিরার ব্যবহার প্রাচীন কাল থেকেই হয়ে আসছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কালোজিরার মধুও বিভিন্ন সময় মানুষের নিকট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে কালোজিরার চাষ পৃথিবীর সব অঞ্চলে হয় না বলে এই জাতীয় মধু সহজলভ্য নয়। কালোজিরার ফুলের মধু মূলত পুরুষদের যৌন দুর্বলতা কমায় এবং নানাবিধ যৌন সমস্যার স্থায়ী সমাধান করে।
লিচু ফুলের মধুর উপকারিতা
এটি বাজারে পাওয়া সব চেয়ে কম দামে ভাল ফুলের মধু। কারণ এটি সরিষা ও কালোজিরা ফুলের মধুর থেকেও সহজলভ্য এবং দামে সস্তা। তবে লিচু ফুল থেকে প্রাপ্ত মধুর চাহিদাও নেহাতই কম নয়। মূলত শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে এটি। অনেকে সরিষা কিংবা কালোজিরার মধুর ঘ্রাণ সহ্য করতে পারেন না। আর তাদের জন্য ডাক্তাররা সবসময় লিচু ফুলের মধু খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
মধুর অপকারিতা
প্রায় প্রত্যেক খাদ্যেরই উপকারি দিকের পাশাপাশি কিছু অপকারি দিকও থাকে। তেমনিভাবে মধুরও কখনো কখনো উপকারের বদল অপকার করে। কারণ সকল ফুলের মধু মানুষের পক্ষে সেবন যোগ্য না। কারণ বনজঙ্গলে থাকা বিষাক্ত ফুলের মধু সেবন করলে নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এমনি এমনই একপ্রকার ফুল হচ্ছে রোডড্রেনডন।
শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধু সেবনে বেশ নিয়মনীতি রয়েছে। একজন কিশোর যতটুকু মধু সেবন করতে পারবে একজন শিশু কিন্তু ততটুক মধু সেবন করতে পারবে না। যদি শিশুরা মাত্রাতিরিক্ত মধু সেবন করে তবে এলার্জি, পেটে অস্বস্তি এমনকি মারাও যেতে পারে।
বর্তমানে বাজার থেকে ক্রয়কৃত কৃত্রিম রাসায়নিক ওষুধ সেবনের পাশাপাশি মধু সেবন করলে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। তবে এমনটা আবার সব ওষুধের ক্ষেত্রে ঘটে না। চা, গরম পানি কিংবা খালি মধু অতিরিক্ত সেবনের কারণে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
যদিও বর্তমান সময়ে মধু প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে মধুকে বেশিদেন সংগ্রহে রাখতে বিভিন্নরকম ক্যামিকেল ব্যবহার করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়াও নকল মধু তৈরিকারী অসাধু ব্যবসায়ীরা তো রয়েছেই। সবমিলিয়ে মধু দ্বারা মানুষের উপকারের বদলে ক্ষতি করার পেছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী আধুনিক সংগ্রহ পদ্ধতি এবং নকল মধু প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে করে মানুষ যেমন উপকারের বদল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তেমনি নানাপ্রকার রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে। তাই পরিশেষে বলতে চাই, মধু আমাদের জন্য স্রষ্টার দানকৃত মহৌষধ হয়েই থাকুক।
No comment yet, add your voice below!