ডায়েট চার্ট বা ojon komanor diet chart লিখে ইন্টারনেটে সার্চ করলে আপনি অসংখ্য তালিকা পাবেন। কিন্তু সেগুলো কি আসলেই কার্যকর বা প্রমাণিত?
তথ্য সূচী দেখুন
Toggle১ মাসে ১০ – ২০ কেজি ওজন কমানোর ডায়ট চার্ট বা খাদ্য তালিকা যারা তৈরি করেছে, তারা কি সেগুলো নিজে পরীক্ষা করেছে?
……………………… করেনি।
আমার এই খাদ্য তালিকা অনুসরণ করে আমি ৩৪ কেজি ওজন কমিয়েছি ৪-৫ মাসে। মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট হিসেবেও এটা অনেক কার্যকর।
মাসে ১০ কেজি ওজন কমানো অসম্ভব নয়। তবে অনেক কঠোর ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রমের মাধ্যেমেই শুধু এটা করা যায়।
এতে সর্বচ্চো পরিমাণ ধৈর্য্য এবং মানসিক শক্তি লাগবে। কারণ এই ওজন কমানোর খাবার তালিকা অনুসরণ করে আপনাকে দৈনন্দিন সভাবিকের চেয়ে ৬০ শতাংশ কম খাবার খেতে হবে।
আপনি এখন থেকে অনুশীলন শুরু করলে, আজ থেকেই ওজন কমা শুরু করবে না। আপনার শরীরের এই খাদ্য তালিকা গ্রহণ ও মস্তিষ্ক ওজন কমানোর জন্য প্রস্তুত হলে, এটা কাজ করা শুরু করবে। শরীর ও মনকে এমন পর্যায়ে নিতে সময় লাগবে।
আমি এই ওজন কমানোর খাদ্য তালিকা অনুসরণ করে এক দিনে সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম কমিয়েছি। ভাববেননা প্রতিদিন ৫০০ গ্রাম করে কমবে। সারাদিনের ক্যালরি গ্রহণ ও খরচের উপর নির্ভর করে দিনে আপনার কত গ্রাম ওজন কমবে।
আবার, শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বেশি হলে প্রথমে ধীরে ধীরে ওজন কমতে থাকবে।
সতর্কতাঃ তবে আমার কঠোর নির্দেশ না খেয়ে থাকবেন না। আর আপনার যদি শারীরিক কোন সমস্যা থাকে বা আপনি কোন ডাক্তারের নির্দেশনায় আছেন। তাহলে এটা অনুসরণ করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেবেন।
এই ওজন কমানোর খাদ্য তালিকার সাথে সম্পূর্ণ ফলাফল পেতে ব্যায়ামও করতে হবে। চলুন দেখে নেই আমার ১ মাসে দশ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট।
মাসে ১০ কেজি ওজন কমানোর ব্যায়ামগুলো জানতে এই পোষ্টটি পড়ুন।
ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট
ঘুম থেকে একদম ভোরে উঠতে হবে। সকালের আবহাওয়ায় কিছু স্বাস্থ্যকর উপাদান থাকে। যেমন সকালের রোদে ভিটামিন ডি শরীরের জন্য অনেক উপকারি।
মধু দিয়ে লেবু পানিঃ সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে এক গ্লাস মধু দিয়ে লেবু পানি পান করতে হবে। একটা মাঝারি সাইজের লেবুর অর্ধেক রস এক গ্লাস পানির মধ্যে দেবেন। সাথে এক চা চামচ অরগানি মধু মিশিয়ে পান করবেন।
শীতকালে কুসুম গরম পানি দিয়ে পান করবেন। আমি সকালে উঠে খালি পেটে ৪০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা জগিং করতাম। ফিরে এসে এই পানীয় খেতাম। এর সাথে আধা চামচ কালো জিরার তেল মিশিয়ে খেতে পারলে আরো ভাল।
সকালের নাস্তাঃ সকালের নাস্তা মানে ৮ টার দিকে একটি সবুজ আপেল (Green Apple) অথবা কমলা অথবা দুইটি ছোট সাইজের কলা। সাথে এক চামচ চিয়া সিড এক গ্লাস পানিতে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে ভিজিয়ে রেখে এখন খাবেন। সপ্তাহে চার দিন এসব খাবেন।
বাকি দুই দিন একটা পাতলা রুটি অথবা চিনি ছাড়া বাকড়খানি খাবেন সাথে একটি কলা দিয়ে। বাকি একদিন একটি ডিম অথবা একগ্লাস দুধ চিনি ছাড়া। যেদিন দুধ ডিম খাবেন, সাথে একটি কাঁচা শসা অথবা গাঁজর খাবেন।
সকালের হালকা খাবারঃ সকালের নাস্তার পর ১০.৩০ টায় অল্প তেলে রান্না করা নানা পদ মেশানো শাক সবজি বড় কাপের ১ কাপ পরিমাণ খাবেন। সপ্তাহে দুই দিন ছোট স্যুপ খাওয়ার বাটির এক বাটি ডাল খাবেন। বেশি ক্ষুদা লাগলে সবজি বা ডালের সাথে অল্প কিছু মুড়ি মিশিয়ে খেতে পারেন।
অথবা ৩-৪ টেবিল চামচ ওটমিল ভেজানো কিছমিছ বা খেজুর দিয়ে খেতে পারেন। আমি রাতের ঘুমানোর আগে ২-৩ টা খেজুর এবং ২০-২৫ টা কিছমিছ ভিজিয়ে রাখতাম।
দুপুরের খাবারঃ দুপুরে (২ টার সময়) মাঝারি সাইজের বাটির এক বাটি শাক সবজির সাথে ডাল মিশিয়ে খাবেন। মিক্সড সবজিতে দেহের জন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল পাচ্ছেন।
সবজিতে থাকে প্রচুর ফাইবার। যা হজমে সহায়তা করে এবং শরীরে প্রবেশ করার সাথে সাথে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়।
সবজি রান্না করার ক্ষেত্রে তেল খুব সামান্য দেবেন। আর তেলে পেয়াজ ভেজে রান্না করবেন না। সবজি পুরোপুরি সিদ্ধ করবেন না। আধা সিদ্ধ সবজিতে পুষ্টিগুণ অটুট থাকে।
শাক সবজির মধ্যে বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, গাঁজর, শষা, বেগুন, মূলা, শিম, পটল, করলা, শালগম, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, পালং শাক, পুঁই শাক, মূলা শাক, লাউ শাক, সরিষা শাক, ইত্যাদি ওজন কমানোর খাবার হিসেবে অনেক উপকারি।
অধিক ক্ষুদা লাগলে সপ্তাহে দুইদিন ১ কাপ করে ভাত খাওয়া যাবে। তবে আমি ১৫-২০ দিন পর পর ভাত খেতাম।
সপ্তাহে ১-২ দিন মুরগির মাংস খেতে হবে। তবে শুধুমাত্র মুরগির বুকের মাংস। আমি সপ্তাহে একদিন মুরগির বুকের অংশের কোয়ার্টার (চার ভাগের এক ভাগ) গ্রিল সাথে একটা সাধারণ নান (Plain Nun) রুটি খেতাম।
সপ্তাহে দুই দিন মাছ খেতে হবে। অতিরিক্ত তেলযুক্ত মাছ খাবেন না। বড় মাছ খেলে এক পিস সবজির সাথে নিয়ে খাবেন। সবজি দিয়ে মাছের তরকারি বা শাক দিয়ে মাছের তকরারি খুব উপাদেয়।
বিকেলের খাবারঃ বিকেল ৪টায় আধা মুঠ ভেজানো ছোলা অথবা ৩-৪ টি খেজুর অথবা একটি কলা খাবেন। সকালে কলা খেলে বিকেলে অন্যকিছু খাবেন।
মেয়েরা এই ১ মাসে ১০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট অনুসরণ করার চলাকালীন পিরিয়ডের সময় দিনে ২-৩টা কলা অবশ্যই খাবেন। কলাতে প্রচুর আয়রন আছে যা পিরিয়ডের সময় বেশি প্রয়োজন। শরীর বেশি দুর্বল হলে ডায়েট করা বাদ দিন।
এসবের সাথে চিনি ছাড়া চা খেতে পারেন। আমি সন্ধ্যায় ব্যায়াম করতাম তাই বিকেলে ব্যায়াম করতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এসব খেতাম।
রাতের খাবারঃ সন্ধ্যা ৭ টায় একগ্লাস লেবু পানি। সকালের বাকি অর্ধেক লেবুর রস এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে পান করুন। আমি ব্যায়াম করে এসে রাত ৮ টার এর সময় লেবু পানি খেতাম। ৩০ মিনিট পর রাতের খাবারে আবার সবজি খাবেন।
এক কাপ পরিমাণ মিক্সড সবজি অথবা শাক রান্না খেতে হবে। বেশি ক্ষুদা লাগলে সাথে দুই মুঠ মুড়ি খেতে পারেন। রাত ১২ টার মধ্যে ঘুমিয়ে যেতে হবে। মনে রাখবেন, অবশ্যই রাতের খাবার খাওয়ার ৩ ঘণ্টা পর ঘুমাতে হবে।
পানিঃ সারাদিন প্রচুর পানি খেতে হবে। আমি তখন দিনে ৪-৫ লিটার পানি খেতাম। আমার পেট ভরিয়েই রাখতাম পানি দিয়ে। খাবার যা খেতাম বেঁচে থাকার জন্য 😛 ।
বাদামঃ সারাদিমে ৪-৫টা কাঠবাদাম ও ৪-৫টা কাজু বাদাম খেতে হবে। এর সাথে ৩০-৩৫টা চীনা বাদাম খাবেন। বাদাম ক্ষুদাভাব দূর করবে এবং শরীরে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি দেবে।
ডায়েট চার্ট অনুসরণের পাশাপাশি আমি সকালে ও সন্ধ্যায় ব্যায়াম করতাম। এই ওজন কমানোর রুটিন চলাকালীন ওজনবাহি বা ওয়েট লিফটিং ব্যায়াম করা যাবে না। ফ্রি হ্যান্ড এবং কার্ডিও ব্যায়াম করতে হবে।
সারাদিনে প্রায় কমপক্ষে ১০-১২ টা কাঠবাদাম, ১০-১২টা কাজু বাদাম এবং আধা মুঠ চিনা বাদাম খেতে হবে।
সতর্কতাঃ
১। প্রাকৃতিক খাবার ছাড়া বাইরে তৈরি করা খাবার খাওয়া যাবে না।
২। মিষ্টি জাতীয় যে কোন তৈরি করা খাবার শতভাগ এড়িয়ে চলতে হবে।
৩। তেলে চুবিয়ে ভাজা যে কোন খাবার, হোক সেটা বাসায় বানানো খাওয়া যাবে না।
৪। আগে কখনো কোন ডায়েট চার্ট ফলো না করে থাকলে। শুরু থেকেই এই রুটিন অনুসারন না করাই ভাল। আপনি শুরুতে ধীরে ধীরে খাবার কমিয়ে এটাকে শেষ লক্ষ্য হিসেবে রাখুন।
৩০ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় হিসেবে উপড়ের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে আমি সফল হয়েছি। অনেকে বাড়িয়ে বলতে গিয়ে ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর নানা উপায় বলে মিথ্যে আশ্বাস দেয়।যে কেউই এটাকে অসম্ভব বলবে। শরীর থেকে বাড়তি মেদ ঝরাতে
বিঃদ্রঃ অসুস্থ শরীরে এটা অনুসরণ করবেন না। এটা অনুসরণ করার সময় অসুস্থ হলে জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন। আমার এই ডায়েট চার্ট অনুসরণ করার সময় সমস্যা হয় নি।
দ্রুত ওজন কমানোর ৫টি উপায়
১. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন:
- অতিমাত্রায় তেল-মসলাযুক্ত খাবারের পরিবর্তে প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি এবং পূর্ণ শস্যদানা (যেমনঃ ডাল, গম, ভুট্টা, যব, ইত্যাদি।) খেতে হবে।
- ভাত, রুটি, আলু, এবং চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়া কমিয়ে ফেলতে হবে।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড, এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার একদমই খাওয়া যাবে না।
- নিয়মিত খাবার খান এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- ধীরে ধীরে খাবার চিবিয়ে খান।
২. ব্যায়াম:
- প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।
- হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, জিমে যাওয়া ইত্যাদি ব্যায়াম করতে পারেন।
- ধীরে ধীরে ব্যায়ামের সময় বাড়ান।
৩. পর্যাপ্ত ঘুম:
- প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান।
- ঘুমের অভাব ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
৪. পানি পান:
- প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
- পানি শরীরের হজম ক্রিয়া বৃদ্ধি করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৫. ধৈর্য ধরুন:
- দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব, তবে ধৈর্য ধরে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা মেনে চলতে হবে।
- দ্রুত ওজন কমানোর ফলে পেশী ক্ষয় হতে পারে, তাই সাবধানে ওজন কমানো উচিত।
ওজন কমানোর খাবার তালিকা
ওজন কমানোর ২০টি খাবারের তালিকাঃ
ফল:
- আপেল
- কলা
- পেঁপে
- জাম্বুরা
- আঙ্গুর
- বেরি
শাকসবজি:
- পালং শাক
- ব্রকলি
- ফুলকপি
- বাঁধাকপি
- শসা
- গাজর
- টমেটো
- লাউ
- ঝিঙা
মাছ:
- রুই
- কাতলা
- মৃগেল
- তেলাপিয়া
মাংস:
- মুরগির মাংস
- খাসির মাংস
- গরুর মাংস (চর্বি কম)
অন্যান্য:
- বাদাম
- ডাল
- ডিম
- দই
- ওটমিল
- বাদামী চাল
সর্বশেষ পোস্টগুলো
Categories
Authors
-
একজন ওয়েব অন্ট্রাপ্রেনিয়ার, ব্লগার, এফিলিয়েট মার্কেটার। ২০১২ সাল থেকে অনলাইনে লেখালেখি নিয়ে কাজ করছেন। ২০১৫ সালে সঠিক ডায়েট ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ৩৪ কেজি ওজন কমিয়েছেন।
-
২০১৯ সালে কুমুদিনী ওমেন মেডিকেল কলেজ থেকে এম.বি.এস. পাস করেছেন। এছাড়াও তিনি সিএমইউ (আলট্রা) এবং সিসিডি (বারডেম) সম্পন্ন করেছেন।
52 Comments
Ami ata follow korbo kintu jani na kisu hobe naki
আশা করি কাজ হবে। ফলাফল জানাবেন।
Hlw vaia…amr ojon 86.5 kg amar hight 4.11″ ja amk dekhte vison e kharap dekhay…amk basay thake amn kisu aktu suggest korben…samne amr bia deoar kotha plan korche… 🫡🫡ajonno onk chelei amk reject kortece…shudu matro mota houar jonno…apni ki amk help korte paben…plz vaia…ami 3 mas er moddei nijk fit korte chacci…amr hormon a aktu prb ace..dct o bolce ojon komate..😐😐plz aktu help koren
আপনি এই ডায়েট চার্ট হুবহু অনুসরণ করুন। আর বাসার সকল ভারী কাজগুলো করবেন (বিশেষকরে কাপড় ধোঁয়া এবং ঘর মোছা।)। কাজগুলো ব্যায়াম মনে করে মনোযোগ দিয়ে সময় নিয়ে ভালভাবে করবেন। বাসায় কাজ না থাকলে ইউটিউব দেখে ঘরে বসে মেয়েদের জন্য উপযোগী ব্যায়ামগুলো করবেন। আশা করি দ্রুত আপনার ওজন কমবে।
Eta korar somoy dori laf khelle ki kono problem hobe?
না। কোন সমস্যা হবে না।
রাতে খাওয়ার ৩০ মিনিট পর যদি জুম্বা ডান্স করি এটা ডায়ার্ট এ কত টা কার্যকর বা ক্ষতি হবে কিনা??
রাতে খাওয়ার পরে ভারী এক্সারসাইজ না করাই ভাল। তবে হালকা নাচানাচি বা ব্যায়াম করা যেতে পারে। এটা অত্যান্ত কার্যকর।
Accha vaiya ojon komanor ki apni.ekn vat niccen ba.apnar ekon kar maintaining ta ki bolben pls…ami Jodi weight komanor por vat neya start kori tkn ki abr weight gain howa suru hoye jabe nah
ওজন কমানোর পর স্বাভাবিক সব খাবারই খেতে পারবেন তবে পরিমাণমত খেতে হবে। আপনার বডিতে যা লাগবে ততটুকু খাবেন অতিরিক্ত খাবেন না। আমি ওজন কমানোর পর পরিমাণমত সব খাবারই খাঁই।
দারুন চার্ট। ধন্যবাদ।
আপনাকেও অভিন্দন। আশাকরি চার্টটি আপনার কাজে লাগবে। যে কোন পরামর্শ চেয়ে মন্তব্য করতে পারেন।
শুধু সকালে জগিং করলে হবে?! এবং কতক্ষন করতে হবে?”
হ্যা। সকালে ৪৫ মিনিট থেকে একঘণ্টা জগিং করতে হবে এবং পোস্টে উল্লেখিত ডায়েট অনুসরণ করতে হবে। ব্যায়ামাগারে যেতে পারলে আরো ভাল ফলাফল পাবেন।
আমার দেখা সেরা ডায়েট চার্ট!!!! ওজন কমতে বাধ্য।।।।। ধন্যবাদ।।।
ধন্যবাদ। আপনার ওজন কমার গল্প শুনতে চাই।
ভাইয়া আমার নাকের অপারেশন এর জন্য ডাক্তার ওজন কমাতে বলছে।৩০ দিনে আমার ১২ কেজি ওজন কমাতে হবে।নাকের অপারেশন ও দ্রুত করতে হবে আবার ওজন না কমালে অপারেশন ও করা যাবে না।কি করি এখন????
আপনি এই ডায়েট চার্টের পাশাপাশি সকালে দৌড়ান আর বিকেলে ব্যায়াম করুন। আশাকরি কমে যাবে।
ডায়েট চার্টটি পড়েই মনে হচ্ছে অর্ধেক মেদ কমে গেল।
অনুসরণ করলে আশকরি পুরোটাই কমে যাবে।
Ami 5 feet 6 inches lomba . Amar age 15 .Amar ojon 80kg ami kivabe khub taratari weight lose korte pari??
বয়স বিবেচনায় আপনার দ্রুত ওজন কমানোর প্রচেষ্টা করা উচিত নয়। আপনার কোন শারীরিক সমস্যা আছে কিনা সেটা জানা দরকার। আপনি নিয়মিত ডায়েট করুন এবং স্বাভাবিক ব্যায়ামগুলো করুন। ভাল হয়, যদি কোন পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করেন।
Dada ami diet korte suru korechi
Sokal a uthe labur jol
Tar ank pore Duto RuTi salad
Dupure ak kap vat mach salad
Ar sondhei black coffee sugar free nd chola vaja
Ar rate 1 ta ruti ata ki thik hoche sir please reply diben
হা ঠিক আছে। তবে পোষ্টের ডায়েট চার্ট অনুসরণ করতে পারলে আরো ভাল ফলাফল পাবেন।
ভাই , সকালে খালি পেটে কি ভারি কোনো ব্যায়াম করা যাবে ? এতে কি কোনো ঝুকি অাছে ? (বয়স ১৭ )
খালি পেটে ওয়েট লিফটিং না করে কার্ডিও এক্সারসাইজ করুন।
ভাই আমিতো সকাল 6 টা থেকে কোচিং করাই।
আমি কি করবো তাহলে
আপনি অন্য যেকোন সময় সকালের ব্যায়ামগুলো করবেন।
আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া আসা করি ভাল আছেন। আমার নাম ফাতেমা। আমি একজন শিক্ষার্থী। আমার বয়স অনুযায়ী আমার ওজন অনেক বেশি। আমি যদি এই চার্ট টা অনুসরন করলে কি কোনো কাজ হবে 🥺😓
ওয়ালাইকুমুস সালাম। সঠিকভাবে অনুসরণ করলে অবশ্যই কাজে লাগবে। শারীরিক কোন সমস্যা থাকলে আগে ডাক্তারের পরামর্শ করে অনুসরণ করুন।
আমার শারিরীক কোনো সমস্যা নেই। দোয়া করবেন🥺যাতে চিকন হয়ে যাই। আপনি কতো কেজি কমেছেন ভাইয়া??
সঠিকভাবে অনুসরণ করলে অবশ্যই কাজে লাগবে। আমি ৩৪ কেজি ওজন কমিয়েছি।
আচ্চা এবাবে ডায়েট করলে কি শরীর দুর্বল হয়ে যাবে না? আমি বলতে চাচ্ছি স্বাভাবিক জীবন যাপন কি ব্যহত হবে?
না। কারণ আপনি প্রচুর পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছেন। তবে শুরুতে একটু দুর্বল লাগতে পারে। তাতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া,আমার বয়স ২৩ বছর,আমার উচ্চতা ৫ ফিট ৬” এবং আমার ওজন ৮৭ কেজি।এবং আমার ব্লাড প্রেশার হাই। আমি আপনার ডায়েট চার্ট অনুসরণ করার চেষ্টা করছি গত একসপ্তাহ থেকে…প্রথমত দুইদিন এই চার্ট অনুসরণ করার পর আমার মাথা ঘোরায় এবং গা কাপঁতে থাকে পরে ৫ দিন রেস্ট দিয়ে আবার ট্রাই করেছি ১ম দিন তেমন কিছু না হলেও ২য় দিন আবার শরীর কাঁপতেছিলো….এমনটা হওয়ার কারন কি?আমি কি ডায়েট চার্টটি কন্টিনিউ করব?
ডায়েট চার্টের সাথে প্রতিদিন ১টি করে ডিম সিদ্ধ এবং ৪-৫টা কাঠবাদাম ও ৪-৫টা কাজু বাদাম এড করে আবার চেষ্টা করুন। প্রথম ৭ দিন শরীর দুর্বল লাগা ও মাথা ঘোরানো অনুভব হতে পারে। তবে অসহনীয় কোন লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
বাচ্চা বুকের দুধ খেলে কি এই ডায়েট চার্ট ফলো করতে পারবো??
এ অবস্থায় এ ডায়েট চার্ট ফলো না করাই ভাল। তবে আপনি কার্বহাইড্রেড জাতীয় খাবার যেমন ভাত একটু কম খেয়ে এর পরিবর্তে ডাল এবং লাউ তরকারি বেশি বেশি খান।
মাসে কি ১০ কেজি ওজন কমবে?
আর কতো মাস এটা ফলো করা যাবে?
হ্যাঁ কমবে তবে সেটা এই ডায়েট চার্ট ফলো করার ২-৩ মাস পর থেকে। আমার ৩৪ কেজি ওজন কমতে ৬ মাসের মত সময় লেগেছিল।
amar 1st 81 kg chilo.tar por 18 hours fasting then sobji dim badam ek mut vaat khetam.amar mutamuti 15-18 diner 3,4 kg komse 76 kg 550 gm e aschilo. then abar bara start hoise. Kal rat raag kore pet vore vaat kheye nichi.ajk 77kg 335 gm e chole asche.💔😢.ami khubi hotay vugchi…
মাঝে মাঝে বেশি খাওয়া খারাপ না। অন্তত মাসে ১-২ দিন বেশি খাবেন তবে সেদিন শুধু একবারই খাবেন। আর ওজন কমানোর সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে হতাশা। হতাশায় ভুগলে এমনিতেই ওজন বাড়বে বেশি খেতে হবে না। সবসময় মানসিকভাবে চনমনে ও উদ্যমী থাকতে হবে। রুটিনের উপর অটল থাকতে হবে। আর প্রতিদিন সমানভাবে ওজন কমবে না। ১৮ বছর ধরে বাড়ানো ওজন ১৮ ঘণ্টার ফাস্টিং কমে যাবে এটা ভাবা বোকামি।
ধন্যবাদ ❤️।আজকে আমার ওজন ৭৮কেজি ৩৫০গ্রাম।
বেড়ে গেছে।কিন্তু মন কে ঠিক রাখার চেষ্টা করছি।আবার ডায়েট শুরু করব।দোয়া করবেন আমি যেন সফল হয়ে আবার মেসেজ দিয়ে বলতে পারি।ভাইয়া আমি পেরেছি😊
মোটেও হতাশ হবেন না। অল্প কিছু ওজন বাড়াকমা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আপনার বডি যে ওজন কমানোর চেষ্টা করছে এটা ব্রেইনকে বোঝাতেই ১ মাস লেগে যাবে। এই ১ মাস পর থেকে দ্রুত ওজন কমবে। সফলতার গল্প শোনার অপেক্ষায় থাকলাম।
আস্সালামু আলাইকুম, ভাইয়া আমার বয়স ২৫ বছর আমার উচ্চতা ৫ফুট ৩ইন্চি,আমার ওজন ৭৪আমি কি এই চার্ট ফলো করতে পারবো
হ্যাঁ, পারবেন।
Assalamu alaikum vaiya amar boyos 14 and amar hight 5.6 amar ekhon ojon 65kg ami 10 12 kg ojon komate chai ami ki diet korte parbo??
ওয়ালাইকুমুস সালাম। জি, পারবেন। তবে ডায়েট চলাকালীন কোন শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বয়স ৫০+ উচ্চতা পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি। উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সেবন করি নিয়মিত, নিয়মিত কার্ডিও করি, হাঁটি। কিন্তু ওজন কমাতে অনেক সমস্যা হচ্ছে।নব্বই কেজি। ওজনের কারণে হাঁটুতে ও ব্যাথা। আমি আপনার ডায়েট চার্ট এর থেকে ও পরিমিত খাবার গ্ৰহন করছি। তাহলে কেনো ওজন সেই অনুপাতে কমছে না। জানাবেন আশা করি। ধন্যবাদ।
আপনার ডায়েট চার্টটা জানালে ভাল হত। আপনি আপনার ডায়েটের দিকে বেশি মনোযোগ দিন। আশাকরি ফল পাবেন।
ভাইয়া,আমার ৮১ কেজি ওজন। বাবু হওয়ার পর ওজন বেড়ে গেছে।বাবুর বয়স ২+ ফিডিং করে।আমি ৪৫ কেজি তে আনতে চাই ওজন। আমি চাই বাবু ফিড ও করুক সাথে সাথে আমি ওজন কমাতে। সেই জন্য কি করতে পারি।আমার থাইরয়েডের সমস্যা আছে।।
আপনার উচ্চতা বা বিএমআই ইন্ডেক্সিং লিখলে আপনার শারীরিক অবস্থা বুঝতে সহজ হত। আপনি ভাত খাওয়া বন্ধ করে দিন। দিনে এক বা দুই বেলা রুটি খাবন সাথে বড় এক বাটি লাউ তরকারি, মসুর ডাল, মুরগির মাংস খাবেন। তেল মসলা কম দিয়ে মসুর ডাল ও লাউ একসাথে রান্না করে খেতে পারেন। আর বিভিন্ন রকমের বাদাম নিয়মিত খাবেন। পাশাপাশি উপরের ডায়েটচার্ট অনুসরণ করার চেষ্টা করবেন। ঘরের কাজ করবেন। সময় থাকলে ব্যায়াম করবেন।