রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রয়োজনীয়তা | কিভাবে ইমিউন সিস্টম বুস্ট করবেন

ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বেশি আমাদের সকলেরই আছে। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের দেহে পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। তখন ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি হয়। ইমিউন সিস্টেমে ঘাটতির ফলে আমাদের দৈনন্দিন কাজেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তবে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে এবং কায়িক পরিশ্রম করলে এই ঘাটতি পূরণ করা যায়।

তথ্য সূচী দেখুন

ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কি?

ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হলো কোষ এবং প্রোটিনের এমন এক আন্তঃজাল যা যেকোনো ধরনের সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। মূলত শ্বেত রক্তকণিকা, অস্থিমজ্জা, অ্যান্টিবডি, প্লীহা ইত্যাদির সমন্বয়ে আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেম গঠিত হয়। শ্বেত রক্তকণিকা বিভিন্ন রকম পরজীবী, ব্যাকটেরিয়া, ফানজাই ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আবার অ্যান্টিবডিগুলো রোগজীবাণু ও এদের বিষক্রিয়া মোকাবিলা করে। এবং প্লীহা রক্তকে ফিল্টারিং করে । আর অস্থিমজ্জা লোহিত রক্তকণিকা সৃষ্টি করে যা দেহে অক্সিজেন সরবরাহ করে আমাদের শারীরবৃত্তীয় কাজকে ত্বরান্বিত করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রয়োজনীয়তা:

চিকিৎসকদের মতে, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী না হলে মানুষ সহজেই যেকোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। দীর্ঘ, স্বাস্থ্যকর এবং সুন্দর জীবন-যাপনের জন্য স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়া প্রয়োজন। তাই দেহে যথাযথ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিদ্যমান রাখাও গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের পাকস্থলিতে যে আবরণ আছে, তার ভেতরে বেশ কিছু উপকারী জীবাণু আছে যা হজমে সাহায্য করে। পাকস্থলীর এসব উপকারী ব্যাকটেরিয়া কমে গেলে ক্যান্সার বাসা বাঁধতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সাথে শারীরিক পরিশ্রমের সম্পর্ক আছে। শারীরিক পরিশ্রমের সময় আমাদের দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করে। এতে মাংসপেশি এবং হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বেড়ে যায়। একই সাথে শরীরের রক্ত সঞ্চালনও বৃদ্ধি পায়। যার ফলে শরীরের সবপ্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছে এবং কোষগুলোতে শক্তি উৎপাদিত হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় কেন:

মানসিক চাপ:

মানসিক চাপগ্রস্ত অবস্থায় কিংবা ভয় পেলে শরীরে ‘কর্টিসল’ নামক হরমোন নিঃসৃত হয়, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দমিয়ে দেয়।
তাই এসব পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তা বন্ধ করে ইতিবাচক কাজে মনোযোগ দিতে হবে।

ঘুমের ঘাটতি:

অনেকে হয়তো দিনভর সিনেমা দেখে পার করে, রাত জাগে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় থেকে আট ঘণ্ট ঘুমানো জরুরি। পাশাপাশি ঘুম হতে হবে নির্ভেজাল।

পড়ুনঃ অনিদ্রা দূর করার উপায়

ধূমপান:

ফুসফুসের ক্ষতি করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও দুর্বল করছে এই বদোভ্যাস। এতে অল্পতেই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। বিড়ি-সিগারেটে নিকোটিন নামক বিষাক্ত পদার্থ থাকে যা ‘কর্টিসল’ হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। আবার ধূমপানের কারণে রক্তে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট-এর মাত্রাও কমে। এজন্য ধূমপানের মতো বাজে অভ্যাস দূর করা খুব জরুরি।

মদ্যপান:

কালেভদ্রেও যদি কেউ মদ্যপান করে তবে সেটাও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি মদ্যপান অন্ত্রের ‘ফ্লোরা’ ও যকৃতের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। তাছাড়া যেকোনো মাত্রার ‘অ্যালকোহল’ পান করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

জ্বর না হওয়া:

প্রয়োজনের সময় জ্বর না হওয়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণ। শরীরের নানান রোগের প্রতিরোধের জন্য জ্বর হওয়া প্রয়োজন। জ্বর হলে অধিকাংশ মানুষ শুরুতেই তা কমানোর জন্য ওষুধ খায়। এটা শরীরের কর্মক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। সংক্রমণ ছাড়া যদি দীর্ঘদিন জ্বর না হয়, তাহলে বুঝতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে।

আরো পড়ুনঃ
জ্বর কমানোর প্রাকৃতিক ঔষধ

দুর্বল অন্ত্র:

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ৮০ শতাংশ নির্ভর করে অন্ত্রের সুস্থতার উপর। কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমে সমস্যা, অ্যাসিডিটি, পেটফাঁপা ইত্যাদির কারণে অন্ত্রের দুর্বলতা দেখা দেয়। এর প্রতিকারের জন্য প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া দরকার।

ভিটামিন ডি কম থাকা:

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রক্তে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কমে গেলে তা বাড়ানোর চেষ্টা করা উচিৎ। নতুবা নানারকম সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

প্রয়োজনের অতিরিক্ত চিনি খাওয়া:

অত্যাধিক পরিমাণে চিনি খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে। কারণ সুগার রক্তের শ্বেত কণিকার কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। অথচ এই রক্ত উপাদান আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা দেয়াল হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন ১০০ গ্রাম এর বেশি চিনি খাওয়া উচিৎ না। অতিরিক্ত ‘মিউকাস’ বা শ্লেষ্মার কারণেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এক্ষেত্রে বাড়তি চিনি, লবণ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার আমাদের কিছুটা উপকার দিতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার লক্ষণ:

প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতির ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। এই অবস্থাকে প্রাইমারী ইমিউনোডেফিসিয়েন্সী বলে। তাই দ্রুত রোগ নির্ণয়ের জন্য নিচের লক্ষণগুলোকে চিনে রাখা জরুরি-

শিশুদের ক্ষেত্রে:

১. বছরে চার বা তার চেয়ে বেশি বার কানের ইনফেকশন হওয়া।
২. বেশি বেশি সাইনাসের সমস্যা হওয়া।
৩. অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরও যদি কাজ না হয়।
৪. বারবার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে।
৫. শিশুর ওজন এবং শারীরিক বৃদ্ধি ঠিকভাবে না হওয়া।
৬. মুখের ঘা বা ত্বকের ছত্রাক সংক্রমণ সহজে ভালো না হওয়া।
৭. জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য বার অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন প্রয়োগের প্রয়োজন হলে।

বয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে:

১. অ্যালার্জির সমস্যা না থাকলেও এক বছরের মধ্যে দুই বা তার চেয়ে বেশি বার সাইনাসের ইনফেকশন হওয়া।
২. বেশি বেশি নিউমোনিয়ার সংক্রমণ হওয়া।
৩. দীর্ঘদিন ধরে ডায়রিয়া এবং ওজন কমে যাওয়া।
৪. বার বার ভাইরাসের সংক্রমণ যেমন সর্দিকাশি, হার্পিস ইত্যাদি।
৫. মুখের ঘা, ত্বক বা অন্যান্য স্থানে ছত্রাকের সংক্রমণ সহজে ভালো না হওয়া

তাছাড়া সারাক্ষণই মন মেজাজ খারাপ থাকা, খিটখিটে মেজাজ এবং অল্পতেই মানসিক চাপে পড়ে যাওয়া ইত্যাদিও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার লক্ষণ। পাশাপাশি সবসময় অসুস্থ থাকা, ক্লান্ত লাগা, ঘুম ঘুম ভাব, কোনো আঘাত ভালো হতে অনেক সময় লাগা, রক্ত শূন্যতা, হতাশা, চোখের নিচে কালো দাগ ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে। তাই, আপনার বয়স অনুযায়ী কতটুকু স্ট্যামিনা থাকা প্রয়োজন তা জেনে নিন। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তৎপর হোন।

আবার বারবার হাঁচি(ধুলার কারণে অ্যালার্জি), গলা ব্যথা, ত্বকে দানা দানা ওঠা ইত্যাদির মানেও হল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম।

অনেকে আবার পরিবেশের সামান্য পরিবর্তনেই অসুস্থ হয়ে যান। এর প্রধান শরীরের তাপমাত্রা কম থাকা। সুস্থ অবস্থায় কোনো ব্যক্তির মুখমন্ডলের তাপমাত্রা ৩৬.৩° সেলসিয়াসের কম হয় না। কারণ সাধারণ ঠাণ্ডার ভাইরাস যেমন- রাইনোভাইরাস ৩৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় শক্তি পায়। নিয়মিত শরীরচর্চা শরীরের তাপমাত্রা ও কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া রসুন, আদা, দারুচিনি, এলাচ ইত্যাদি মসলা শরীর গরম রাখতে ভালো কাজ করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়:

আমরা অনেক সময় নিজেদের শরীরের অনেক বড় রোগ বা জটিল বিষয় খেয়াল করি না। শুধু একটু সচেতন এবং নিজের প্রতি যত্নশীল হলে অনেক অঘটন থেকে বাঁচা সম্ভব। পাশাপাশি প্রোটিন, জিংক, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রাকৃতিক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে এবং রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে সুরক্ষা জোগায়।
নিচের বিষয়গুলোর প্রতি সচেতন দৃষ্টি রাখলে আমরা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারবো।

খাদ্যভ্যাস:

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল খান। ফলের রসের পরিবর্তে সম্পূর্ণ ফল চিবিয়ে খাওয়া-ই ভালো। এতে পুষ্টি উপাদানের সাথে সাথে ফাইবারও পাওয়া যাবে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন, ৮ থেকে ১০ গ্লাস। ফাস্টফুড, তেল-চর্বি ও মসলা জাতীয় খাবার যতটুকু সম্ভব পরিহার করুন।

পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন এবং খনিজ লবণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বেশি পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান। প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন-ই অধিক কার্যকর।

তাছাড়া ফ্লু বা সর্দি-কাশি উপসর্গে জিংকের বেশ উপকারিতা রয়েছে। জিংক-সমৃদ্ধ খাবারগুলো হচ্ছে আদা, রসুন, ডাল, বিন্স, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ ইদ্যাদি।

আমরা আমাদের খাদ্যতালিকায় মধু যোগ করতে পারি। মধুতে জীবাণু ধ্বংসকারী হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও নাইট্রিক অক্সাইড রয়েছে যা ফ্লু উপসর্গে মধু বেশ উপকারি। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা মধু সেবনে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

মানসিক চাপমুক্ত থাকুন:

অতিরিক্ত মানসিক চাপে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এজন্য মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। টিভি, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে খবরগুলো আপনাকে মানসিক চাপে ফেলছে, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন। পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে ভালো সময় কাটান, বই পড়ুন বা নতুন কিছু শেখায় মন দিন। মেডিটেশন মানসিক প্রশান্তি অর্জনের একটি ভালো উপায়।

শরীরচর্চা:

শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শরীরচর্চা অপরিহার্য। বিশেষ করে এসময়ে যখন আমরা সবাই ঘরে অবস্থান করছি। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট এবং বাচ্চাদের কমপক্ষে ১ ঘণ্টা শরীরচর্চা করা উচিৎ। ঘরে থেকে আপনি হাঁটাহাটি, সাইক্লিং, ইয়োগা, ওয়েট শিফ্টিং, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা ইত্যাদি ব্যায়াম করতে পারেন। এমনকি নফল নামাজ পড়াও আপনার শরীর চর্চার উপায় হতে পারে।

ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা:

ধূমপান সরাসরি আপনার শ্বাসতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যার ফলে শ্বাসনালীতে বিভিন্ন রকম ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই ধূমপান বাদ দিন ও সুস্থ-সুন্দর জীবন-যাপন করুন।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা:

শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অটুট রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার বিকল্প নেই। খাবার পরিমিত খান ও শারীরিকভাবে সচল থাকুন।

আরো পড়ুনঃ
মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর সহজ পদ্ধতি
মাসে ১০ কেজি ওজন কমানোর সহজ উপায়
কিভাবে ব্যায়াম ছাড়া ওজন কামাবেন
দ্রুত ওজন বাড়ানোর উপায়
ওজন কমানোর প্রাকৃতিক ঔষধ

পরিমিত ঘুম:

পরিমাণমতো ঘুমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘণ্টা করে ঘুমনোর চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা:

আমরা যদি রোগের সংক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচাতে চাই, তবে নিজের ও আশ-পাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা অত্যন্ত জরুরি। নির্দিষ্ট সময় পর পর হাত সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্যবহার্য জিনিপত্র জীবাণুনাশক পদার্থ দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। দরজার হাতল, সুইচ, লিফ্টের বাটন জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে পরিষ্কার রাখুন

যেসব খাবারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

শারীরিক সুস্থতা এবং রোগের আক্রমণে টিকে থাকতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের রক্ষা কবচ। কিছু খাবার আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীর সুস্থ রাখে।

এমন কিছু খাবারের তালিকা এখানে দেয়া হলো-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় হলুদ:

গবেষণায় দেখা যায়, হলুদে প্রচুর পরিমাণে কার্কিউমিন পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অ্যান্টিভাইরাল হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া হলদি চা-ও আমাদের শরীরের জন্য ভারী উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এর জুড়ি নেই। এর সাথে আদা, গোলমরিচ, দারচিনি মিশিয়েও খাওয়া যায়।

প্রোটিন বা আমিষসমৃদ্ধ খাবার:

আমিষ আমাদের দেহ গঠনেে এবং অভ্যন্তরীণ শক্তি বৃদ্ধিতে দারুণভাবে সহায়ক। ডিম, মাছ, মুরগির মাংস, ডাল এগুলো প্রোটিনের প্রধান উৎস। স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য আমাদের প্রতিদিন দেহের ওজনের ০.০০১% প্রোটিনের যোগান দেয়া জরুরি। অর্থাৎ, কারও ওজন যদি ৬৮ কেজি হয়, তবে দৈনিক তাঁর ৬৮ থেকে ৭০ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন দরকার।

খাদ্যতালিকায় ভিটামিন-সি:

আমরা জানি, লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি আছে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি দারুণ কার্যকর। মানবদেহের জন্য এটি অতি প্রয়োজনীয় একটি মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট। তাছাড়া ভিটামিন-সি দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে হৃদ্‌রোগ, ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। তাছাড়া ভিটামিন-সি শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়ায়, যা যেকোনো ধরনের সংক্রমণ বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আমলকী, লেবু, কমলালেবু, পেয়ারা, জাম্বুরা, আমড়া, পেয়ারা, পেঁপে, কাঁচা মরিচ ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে। এমনকি গোল মরিচে ভিটামিন-সি এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায় যা চোখের সুরক্ষার জন্য খুব উপকারী।
তবে ভিটামিন-সি আমাদের শরীরে জমা থাকে না। এজন্য প্রতিদিন ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দৈনিক ৯০ মিলিগ্রাম এবং নারীর ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি দরকার।

ভিটামিন বি১২-যুক্ত খাবার

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও রোগ থেকে দ্রুত সেরে উঠতে ভিটামিন বি১২ দারুণ কার্যকর। বিভিন্ন দুগ্ধজাত খাবার ও ডিমে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। তবে যাঁরা নিরামিষাশী, তাঁরা শরীরে ভিটামিন বি১২-এর অভাব পূরণে চিকিৎসকের পরামর্শমতো মেডিসিন গ্রহণ করতে পারেন।

আদা ও রসুন:

আদা প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য করে। কারো বমির ভাব থাকলে আদা খাওয়ার ফলে তা চলে যায়। এছাড়া এটি দেহের কোলেস্টেরলও হ্রাস করে। তাছাড়া খাবারের ঝাঁজ বাড়াতে আদার তুলনা নেই। আবার, আদা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টেরও ভালো উৎস।

রসুনও আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এটি ধমনীগুলোকে শক্ত ও স্থির করে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খুব কার্যকর। রসুন থাকে সবার বাসায়ই। কাঁচা রসুন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাকজনিত আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বিশেষ করে, ত্বকের সংক্রমণ নিরাময়ে ভালো কাজ করে রসুন। আবার দেহের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে অধিক উপযোগী রসুন।

পালং শাক:

পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। যতটা কম রান্না করা যায় ততই এটি স্বাস্থ্যকর। তবে আমাদের দেহ যাতে সহজে এতে বিদ্যমান ভিটামিন-এ এবং অ্যান্টালিউট্রিয়েন্ট অক্সালিক অ্যাসিড শোষণ করে নিতে পারে এজন্য হালকা রান্না করে নিলে ভালো। পালং শাক খুবই পুষ্টিকর এবং উপাদেয় খাদ্য।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দই:

দই আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে। দই ভিটামিন ডি এর দুর্দান্ত উৎস।
দিনে অন্তত ১০০ গ্রাম দই খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ক্লিনিকাল ট্রায়ালে এমনকি COVID-19-এর প্রতিষেধক তৈরিতে দই-এর কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা চলছে।

বাদাম:

বাদামে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার মূল চাবিকাঠি। বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। এটি ঠাণ্ডার সমস্যা ও কাশি প্রতিরোধ করে। তাছাড়া এর স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শরীরে শক্তি প্রদান করে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা সমুন্নত রাখে।

সূর্যমুখী বীজ: 

সূর্যমুখী বীজে প্রচুর পরিমাণ ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি -6 এবং ভিটামিন-ই সহ অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।

ভিটামিন ই ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া সূর্যমুখীর বীজে এতো বেশি পরিমাণ সিলিনিয়াম রয়েছে যা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিনের সিলেনিয়ামের প্রয়োজন পূরণে সক্ষম।

গ্রিন টি:

গ্রিন টি-তে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড বিদ্যমান। এই চা অ্যামিনো অ্যাসিড এল-থানাইনিনের একটি ভাল উৎস। আর এল-থ্যানাইন ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে অনেক কার্যকর। তাছাড়া গ্রিন টি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভারী উপকারী।

পেঁপে:

পেঁপেতে পাপাইন নামক একধরনের হজম এনজাইম রয়েছে যা প্রদাহ উপশম করে। উৎসব-পার্বণে আমাদের ভূড়িভোজ একটু বেশিই হয়ে যায়। এজন্য বিড়ম্বনাও কম হয় না। হজমশক্তি বাড়াতে এবং পেটের গোলযোগ এড়াতেও পেঁপে অনেক কার্যকর।

এছাড়া পেঁপেতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফোলেট থাকে, যা আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এমনকি পেঁপেতে টমেটো বা গাজরের চেয়েও বেশি ভিটামিন এ আছে। তাছাড়া পেঁপের পুষ্টিগুণ চোখের মিউকাস মেমব্রেনকে সবল করতে ও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে পেঁপেতে বিটা ক্যারোটিন, জিয়াক্সনাথিন ও লুটেইন বিদ্যমান; যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত পেঁপে খেলে সাধারণ রোগবালাই দূরে থাকে। কোলন ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি অনেক উপকারি।

মুরগির স্যুপ:

মুরগির স্যুপ খুব উপাদেয় খাদ্য। ঠান্ডার সমস্যা দূরীকরণে এটি ভালো ফল দেয়। বাসায় বানানো চিকেন স্যুপ মানুষের শরীরের জন্য খুব উপকারি। এতে থাকে কারনোসিন নামের একটি রাসায়নিক পদার্থ। এটি ভাইরাসজনিত জ্বরের সংক্রমণ থেকে মানুষের শরীরকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
তাছাড়া মুরগী ভিটামিন বি-৬ এর অন্যতম প্রধান উৎস; যা শারীরবৃত্তীয় বিক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বিক্রিয়ক। এটি মূলত লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সহায়তা করে।

মুরগির মাংসে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির অন্যান্য আরো অনেক সহায়ক পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

শিম বীজ:

জিঙ্কের ঘাটতির ফলে রক্তে শ্বেতকণিকার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। শিম ও দুগ্ধজাত পণ্যে জিঙ্কের পরিমাণ বেশি থাকে। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অধিক পরিমাণে জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো উচিৎ। তাছাড়া শিম চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। আবার শিম ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে। শিমে সিলিকনজাতীয় উপাদান থাকে যা হাড় সুগঠিত করে।

এমনকি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিম সাহায্য করে। নিয়মিত শিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে। তাছাড়া শিমের ফুল রক্ত আমাশয় দূর করতে সাহায্য করে। শিমের দানায় ভিটামিন বি সিক্স ভালো পরিমাণে থাকায় তা স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখে। ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও শিম মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে ও এলার্জির সমস্যার প্রতিকারক হিসেবে বেশ কার্যকর।

মিষ্টি আলু:

মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন থাকে। পরে মানুষের শরীরে এসে এটি ভিটামিন এ-তে রূপ নেয়। এর ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। এমনকি বার্ধক্য ঠেকাতেও কাজ করে বিটা-ক্যারোটিন।

আমলকী:

আমলকীর সাথে অল্প আদা ও খেজুর বেটে নিন। ভিটামিন সি-তে ভরপুর আমলকীর এই চাটনি শরীরের জন্য ভারি উপকারি।

তরমুজ:

তরমুজে থাকে গ্লুটাথায়োন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। এতে বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের লড়াই করার সক্ষমতা বাড়ে।

পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশি করে গাজর, টমেটো, কুমড়ো খান। প্রতিদিন ১ কাপ গাজরের জুস খেলে দারুণ উপকার পাবেন। গাজরের জুস দুধের থেকেও সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর। এবং সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। কোমল পানীয় কম খান। এটি শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হলে সহজে কোনো রোগ আক্রান্ত করতে পারে না। আসলে প্রতিটি মানুষের শরীর-ই আলাদা। । বাইরে থেকে দেখে বোঝা সম্ভব নয় যে কার ইমিউনিটি কতটা শক্তিশালী। এজন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়লো নাকি কমলো, সেটা জানাও অনেক কঠিন। আপনি রাতারাতি প্রচুর ভিটামিন খেতে আরম্ভ করলেই প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে না। সামগ্রিকভাবে সুস্থ এবং সবল থাকার চেষ্টা করতে হবে।

Source:
https://www.bbc.com/bengali/amp/news-49151613
https://www.healthline.com/health/food-nutrition/foods-that-boost-the-immune-system
https://food.ndtv.com/bengali/keep-this-turmeric-tea-pre-mix-handy-for-your-daily-dose-of-immunity-booster-2216732?amp=1&akamai-rum=off
https://amp.dw.com/bn/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BF/g-53434727
http://www.prothomalo.com/amp/life-style/article/1055981/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%9F
https://m.bdnews24.com/amp/bn/detail/lifestyle/1749590
https://www.somoynews.tv/pages/details/208611/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%A6-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%9F
https://www.priyo.com/articles/%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A7%AB-%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%9D%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE
https://mytonic.com/bn/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF/tonic/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%83-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%9D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8
https://mytonic.com/bn/%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF/tonic/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0

আপনার পছন্দের লেখাগুলো নিয়মিত পেতে ইমেইল দিয়ে এখনি সাবস্ক্রাইব করুন।
সর্বশেষ পোস্টগুলো
আমার ওজন কমানোর গল্প

আমার ৩৪ কেজি ওজন কামানোর কথা

home remedies for insomnia

অনিদ্রা দূর করার উপায় । ১০ টি ঘরোয়া ঔষধ

আঁচিলের প্রাকৃতিক চিকিৎসা

আঁচিলের প্রাকৃতিক চিকিৎসা

আমার ওজন কমানোর খাবার তালিকা

আমার ওজন কমানোর খাবার তালিকা বা ডায়েট চার্ট

অতিরিক্ত ওজন কমানোর ঔষধ

ওজন কমানোর প্রাকৃতিক ঔষধ

ওজন বাড়ানোর খাবার তালিকা

কফ কাশির প্রাকৃতিক ঔষধ

কফ বা কাশির প্রাকৃতিক চিকিৎসা

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়

কোষ্টকাঠিন্য থেকে মুক্তির উপায়

গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা

গরম পানি খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা

খুশকি দূর করার উপায়

ঘরে বসে খুশকি দূর করার সহজ ১০টি উপায় । খুশকি দূর করার প্রাকৃতিক শ্যাম্পু

চুল পরা বন্ধের উপায়

চুল পড়া বন্ধের প্রাকৃতিক ঔষধ 

দ্রুত ওজন বাড়ানোর উপায়

দ্রুত ওজন বারানোর উপায়

বমি দূর করার উপায়

বমি দূর করার উপায় | বমি হলে করনীয়

ব্যায়াম ছাড়া ওজন কমানোর উপায়

ব্যায়াম ছাড়া ওজন কমানোর ৯ টি সহজ উপায়

দ্রুত ওজন কমানোর খাবার তালিকা

মাসে ১০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট




Categories
ভাল লাগলে ৫ স্টার রেটিং দিন!

Author

  • আবু তালহা

    একজন ওয়েব অন্ট্রাপ্রেনিয়ার, ব্লগার, এফিলিয়েট মার্কেটার। ২০১২ সাল থেকে অনলাইনে লেখালেখি নিয়ে কাজ করছেন। ২০১৫ সালে সঠিক ডায়েট ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ৩৪ কেজি ওজন কমিয়েছেন।

Recommended Posts

No comment yet, add your voice below!


Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *