অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা ও ব্যবহার

শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে অলিভ অয়েলে খাওয়ার উপকারিতা অপরিসীম। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। সেই সঙ্গে কমায় কোলেস্টেরলের মাত্রা, হৃদরোগের ঝুঁকি, ডায়াবেটিস, এবং হজমের সমস্যা। এর পাশাপাশি রান্নায় স্বাদ-গুণ বাড়াতে অলিভ অয়েলের ব্যবহার অতুলনীয়। শুধু খাওয়ার জন্যই নয়, এটি গায়েও মাখা যায়। ত্বকের জন্য উপকারী নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর অলিভ ওয়েল খাওয়ার সঠিক নিয়মগুলো জেনে নেই। 

 

অলিভ অয়েলের পুষ্টিগুণ

ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের জলপাই গাছের ফল থেকে তৈরি অতুলনীয় এই অলিভ অয়েলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে, ই, ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়াম আছে। এটি oleic acid ও palmitoleic acid-এর মতো উপকারী উপাদানেও সমৃদ্ধ। অলিভ অয়েলে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে মিশে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা

শীতকালে অলিভ অয়েল খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। যারা দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন একটা করে জলপাই খান। নিয়মিত জলপাই খেলে পিত্তথলির পিত্তরস ভালভাবেকাজ করে। পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।

শুধু তাই নয়, অলিভ অয়েল সর্দি-কাশিও প্রতিরোধ করে। এতে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বক ও চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। যাদের চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিত জলপাই খান এবং প্রয়োজনে চুলে লাগান। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। এর পাশাপাশি জলপাইয়ের তেল সেলুলার স্ট্রেস কমিয়ে অকাল বার্ধক্য রুখে দেয়।

চলুন একনজরে দেখে নিই, অলিভ অয়েল কিভাবে আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে-

অলিভ অয়েলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী ফ্যাট

শরীরকে সুস্থ রাখতে এতে থাকা উপকারী ফ্যাট প্রয়োজন। বিশেষ করে হরমোনাল এবং ব্রেন ফাংশন ঠিক রাখতে উপকারী ফ্যাটের কোনো বিকল্প নেই। তাই, নিয়মিত অলিভ অয়েল খাওয়া খুব জরুরি। বিশেষ করে oleic acid-এর মতো monounsaturated fat স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। এতে আরো রয়েছে ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে আমাদের বাড়তি সুরক্ষা দেয়।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে

আমাদের খাদ্যাভ্যাসে অলিভ অয়েলের ব্যবহার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্টের যেকোনো বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা হ্রাস পায়। এতে উপস্থিত polyphenols নামক উপাদানটি কোষের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এ কারণে arterial wall-এর ইলাস্টিসিটি বৃদ্ধি পায়। আমাদের পাকস্থলীর জন্য এ তেল দারুণ উপকারী।

ডায়াবেটিসকে দূরে রাখে

নিয়মিত এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খান, দেখবেন ডায়াবেটিস আপনার ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না। কারণ, এতে  বিদ্যমান পলি ও মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং কার্বোহাইড্রেট শোষণ করে, যা ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

পেটের রোগের প্রকোপ কমে

গ্যাস-অম্বলের সাথে বদহজমের সমস্যাও এখন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী, তেমনি আছে বদহজমের সমস্যাও। এতে রয়েছে monosaturated fat যা bowel movement এর উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়ে যায়। তাই, বিশেষজ্ঞরা বেশি বেশি অলিভ অয়েল খাওয়ার পরামর্শ দেন। নিয়মিত এক চামচ সঙ্গে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ভাল হয়।

ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি দূরে রাখে

জলপাইয়ের তেলে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানকে ধ্বংস করে oxidative damage প্রতিরোধ করে। সেই সঙ্গে এটি ক্যান্সার সেলগুলিকেও ধ্বংস করে দেয়। নিয়মিত খাওয়ার ফলে আমাদের দেহের অস্বাভাবিক কোষ গঠন বাধাপ্রাপ্ত হয়। পাশাপাশি এটি এপিজেনিক পরিবর্তন থেকেও শরীরকে রক্ষা করে। ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

এতে প্রচুর পরিমাণে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও পলিফেনাল মজুদ থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই, পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাসায় তৈরি খাবারে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। বাড়তি পুষ্টিগুণ পেতে কাঁচা অলিভ অয়েলও খেতে পারেন।

স্ট্রেস-ডিপ্রেশনের প্রকোপ কমায়

অলিভ অয়েল খাওয়া মাত্র শরীরে serotonin নামে এক প্রকার ‘ফিল গুড’ বা ভাল লাগার হরমোন নিঃসৃত হয়। এটি ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়াও এর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড মানসিক অবসাদ প্রতিরোধে অনেক বেশি কার্যকর।

ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধিতে

ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে এর জুড়ি নেই। এতে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিডসমূহ মস্তিষ্কের উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি করে। শুধু তাই নয়, এটি ব্রেন সেলে তৈরি হওয়া Beta-Amyloid Plaque-ও দূর করে। এর ফলে স্নায়ু কোষগুলো সচল হয় এবং কর্মক্ষমতা বাড়ে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে

চটজলদি ওজন কমাতে অলিভ অয়েল খেতে ভুলবেন না। এটি হজমে সাহায্য করে এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাছাড়া জলপাইয়ে বিদ্যমান ভিটামিন-ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভেন-৩-ওলস, অ্যানথোসায়ানিন, ফ্ল্যাভোনয়েড ও পলিমারস্ ফ্রি radical প্রতিরোধ করে ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে।

শরীরের প্রদাহ কমে

শরীরে প্রদাহের মাত্রা বাড়তে শুরু করলে যেমন হার্টের মারাত্মক ক্ষতি হয়, তেমনি ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, এবং আর্থ্রাইটিস-এর মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। অনাকাঙ্ক্ষিত এই প্রদাহ হ্রাসে এটি দারুণভাবে কার্যকর। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রদাহের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে আনে এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষা দেয়।

শরীরের ব্যথা নিরাময়ের জন্য

২০০ মিলিলিটার পানির সঙ্গে ২০ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। সাথে যোগ করুন ১০ চামচ সৈন্ধব লবণ। প্রতিদিন এভাবে অলিভ অয়েল ও লবণের মিশ্রণ তৈরি করে ব্যথার স্থানে ১৫ মিনিট ধরে মালিশ করুন।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

হৃদরোগীদের জন্য এটা খুবই উপকারী। দুর্বল হার্টের জ্বালানি হিসেবে প্রয়োজনীয় চর্বির জোগান দেয় অলিভ অয়েল। এই লক্ষ্যে ছোট একটি কড়াইয়ে দেড় কাপ এক্সট্রা ভার্জিন অয়েল, ৮-১০টি শুকনা রোজমেরি পাতা, সামান্য সামুদ্রিক লবণ ও গোলমরিচ নিন। এরপর ৫-১০ মিনিট ধরে এটি জ্বাল দিন। কিছুক্ষণ পর চুলা থেকে নামিয়ে নির্যাসটুকু গ্রহণ করুন এবং বোতলে সংরক্ষণ করুন। ভালো ফল পেতে আপনি সালাদ, স্যুপসহ অন্যান্য পছন্দের খাবারের সঙ্গে তৈরিকৃত জেলিটি ব্যবহার করতে পারেন।

কানের সমস্যায় অলিভ অয়েল

কানের মধ্যে চুলকানি এবং দুর্গন্ধ হওয়া এমন বেশ কিছু সাধারণ সমস্যা অনেকেরই রয়েছে। এসব সমস্যা দূর করতে একটা কটন বাড অলিভ অয়েলে ভিজিয়ে খুব সাবধানে কানের মধ্যে ব্যবহার করুন।

নাক ডাকা বন্ধ করতে

অলিভ অয়েলে থাকা ঔষধিগুণ নাক ডাকা বন্ধ করতে সাহায্য করে। তাই, প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটু অলিভ অয়েল খেয়ে নিন। এটি আপনার কণ্ঠনালীকে পিচ্ছিল করে দেয় এবং নাক ডাকা বন্ধ করে।

ডার্ক সার্কেল দূর করতে

চোখের নিচে কালি পড়লে রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এবং পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মমাফিক প্রতিদিন ব্যবহারে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে যায়।

তাছাড়া এটি আমাদের ভিটামিন ‘এ’র অভাব পূরণ করে। রাতকানা ও গ্লুকোমা-সহ চোখের অন্য সব রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে।

পা ফাটা সমস্যার সমাধান

পায়ের দুরবস্থার কারণে কারও সামনে পা বের করতে বিব্রত হচ্ছেন? রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে নিন এবং ঘুমানোর সময় মোজা পরে ঘুমান। আর পরদিন সকালে নরম তুলতুলে পায়ে পছন্দের স্যান্ডেল পড়ে চলে যান আপনার গন্তব্যস্থলে।

ঠোঁটের স্ক্রাবার হিসেবে

ঠোঁটে মাঝে মাঝে মরা চামড়া জমে কালচে দেখায়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অলিভ অয়েল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে ঘষুন। এতে ঠোঁটের মরা চামড়া দূর হয়ে যাবে। পাশাপাশি ঠোঁটের কোমলতা ধরে রাখতে এবং ঠোঁট ফাটা রুখতে এক চা চামচ তেল, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও আধ চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে চিনি না গলে যাওয়া অবধি ম্যাসাজ করুন।

নখের যত্নে

ভঙ্গুর নখ এবং নখের চামড়ার বাইরের স্তর সুস্থ, সুন্দর এবং কোমল রাখার জন্যও এটি দারুণ উপযোগী। কয়েক ফোঁটা এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল হাতের আঙুলে নিয়ে নখের উপরে এবং চারপাশে ভালোভাবে মালিশ করুন। এতে নখ শক্ত ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। অথবা, প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নখ ও এর আশেপাশের ত্বকে ম্যাসাজ করে নিন। ধীরে ধীরে নখ ভাঙ্গার প্রবণতা কমে যাবে এবং নখ হয়ে উঠবে আকর্ষণীয়।

আয়রনের ভালো উৎস

আয়রনের অভাব দেখা দিলে আমাদের দেহাবস্থিত টিস্যুগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পায় না। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। আয়রন শরীরে শক্তি উৎপাদনের এক দারুণ উৎস। আয়রনের ঘাটতি দূর করতে প্রতিদিন কালো জলপাই খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন রয়েছে। সর্বোপরি শারীরবৃত্তীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পরিমিত পরিমাণে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

অলিভ অয়েল বাথ

এক বালতি পানিতে ৫ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে গোসল করুন। অথবা, গোসলের আগে তেল দিয়ে পুরো শরীর ম্যাসাজ করে নিলে ভাল ফলাফল পাবেন।

মেক-আপ রিম্যুভার

বিশেষজ্ঞদের মতে, চোখের মেইকাপ তোলার জন্যও সবচেয়ে ভালো হচ্ছে অলিভ অয়েল। চোখের পাপড়িতে লাগানো মাশকারা ওঠাতে কিংবা চোখের নিচের কালো দাগ এবং রিঙ্কল দূর করতেও এটি ভালো কাজ করে। এটি চোখের চারপাশের কুঁচকে থাকা ত্বককে হাইড্রেট করে আরো নরম করে তোলে। আর ত্বকের মেকআপ তুলতে আঙ্গুলের ডগায় অথবা কটন প্যাডে এই তেল লাগিয়ে নিন। তারপর সার্কুলার মোশনে আস্তে আস্তে সমস্ত মেক-আপ তুলে ফেলুন। তারপর ভালো মানের ক্লিনজার দিয়ে আপনার মেক-আপ তোলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।

অলিভ অয়েল মুখে দিলে কি হয়

অলিভ অয়েলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্টস্ রয়েছে যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। তাই বাইরে বেরোনোর আগে মুখে খানিকটা অলিভ অয়েল মেখে নিন।

তাছাড়া অলিভ অয়েল ব্রণ প্রতিরোধকও বটে। মুখে ব্যবহারের জন্য ৪ টেবিল চামচ লবণের সাথে ৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। তারপর এই পেস্ট ২ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। নিয়মমতো এক সপ্তাহ এই পেস্ট ম্যাসাজ করলে আপনি অবশ্যই মুখের পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

এমনকি, অন্য যেকোনো তেলের তুলনায় অলিভ অয়েল খুবই হাল্কা বিধায় এটি খুব সহজেই মুখের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। সেজন্য ১/২ কাপ অলিভ অয়েল, ১/৪ কাপ ভিনেগার আর ১/৪ কাপ পানি মিশিয়ে একটি সলিউশন তৈরি করুন, যা রাতে ঘুমানোর সময় নাইট ক্রিমের মত ব্যবহার করতে পারবেন। অলিভ অয়েল স্কিনকে নরম করে তোলে, এবং ভিনেগার ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ত্বকের সুরক্ষা প্রদান করে।

 

চুলে অলিভ অয়েলের উপকারিতা

আপনার চুলের সুরক্ষায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। অলিভ ওয়েল ময়েশ্চরাইজার হিসেবে চমকপ্রদ ফল দেয়।

অলিভ বা জলপাইয়ের তেল চুলকে ঘন ও উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুমের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল নিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুল কোমল ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। চায়ের লিকার, লেবুর রস ও অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিয়েও চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এটা হেয়ার ট্রিটমেন্টের কাজ করে।

চুলের বাড়তি যত্ন নিতে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুন-

  • ১। যাঁদের খুশকির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা সপ্তাহে দু’দিন ভাল করে মাথায় এই তেল ম্যাসাজ করুন। তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। পাশাপাশি সমপরিমাণ জলপাই তেল আর বাদামের তেল একসাথে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এভাবে ৩ সপ্তাহ করলে খুশকি অনেকটা কমে আসবে।
  • ২। তাছাড়া অলিভ অয়েলের সঙ্গে অল্প নারকেল তেল মিশিয়ে চুলের আগা তাতে চুবিয়ে রাখুন। এতে চুল নরম থাকে, এবং ফাটার আশঙ্কা আর থাকে না।
  • ৩। আবার চুলের ফ্রিজিনেস দূর করার জন্য একটি চিরুনি অলিভ অয়েলের মধ্যে ডুবিয়ে নিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। এতে চুল ময়েশচার হয়ে ফ্রিজিনেস কেটে যাবে।
  • ৪। কন্ডিশনারের পরিবর্তেও আপনি অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। শ্যাম্পু করার পর হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল নিয়ে ভালো ভাবে দুই হাতে ঘষে ফেলুন। তারপর এটি আলতো করে চুলে লাগিয়ে নিন।
  • ৫। আর প্রতি সপ্তাহে অন্ততপক্ষে একবার হালকা গরম অলিভ অয়েল চুলে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করুন। এভাবে ২/৩ ঘন্টা চুলে তেল লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করুন। তারপর নিজেই লক্ষ করবেন শাইনি আর স্বাস্থ্যকর চুলের বাহার।

এভাবে বাসায় বসে আপনি ভেষজগুণসমৃদ্ধ অলিভ অয়েল ব্যবহারে চুলের যত্ন নিতে পারেন।

 

ত্বকে অলিভ অয়েলের উপকারিতা

অলিভ অয়েলে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস্ ত্বককে আলট্রা-ভায়োলেট রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করে। এতে স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পায়। অলিভ অয়েলে আরো রয়েছে ভিটামিন এ এবং ই যা ত্বককে সতেজ রাখে। তাই, প্রতিদিন বাসায় ফিরে গোসল করার পর সামান্য পানির সাথে অলিভ ওয়েল মিশিয়ে সারা শরীরে ম্যাসেজ করুন। দেখবেন শরীরের ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে এবং সারারাত শরীরে ভেজাভাব বজায় থাকবে। প্রতিদিন এভাবে অলিভ অয়েল দিয়ে শরীরের ত্বক ভালোভাবে ম্যাসাজ করলে সহজে বলিরেখা পড়ে না।

পাশাপাশি শরীরের কোথাও কেটে গেলে বা আঁচড় লাগলে অলিভ অয়েল অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। একটি পরিষ্কার পাত্রে প্রয়োজনমত এক্সট্রা ভার্জিন অয়েল, নারকেল তেল, ক্যালেনডুলা ও ল্যাভেন্ডার তেল, মোম, চা পাতা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এটি ক্ষত সারাতে দারুণভাবে কাজ করে।

জলপাই তেল শিশুর ত্বকের জন্যও নিরাপদ। শিশুদের নিতম্ব থেকে র‌্যাশ দূর করতে সামান্য অলিভ ওয়েল মাখিয়ে দিন। যাদের ত্বকে চুলকানির সমস্যা রয়েছে তারা নির্দ্বিধায় এ তেল গায়ে মাখতে পারেন। অলিভ অয়েল অতিরিক্ত শুষ্ক, ছোপ ছোপ ত্বক কোমল ও মসৃণ করে। জলপাই তেলে রয়েছে হাইড্রেটিং এজেন্ট, যা শিশুর ত্বককে নরম করে তোলে।

 

অলিভ অয়েলের প্রকারভেদ

বাজারে মোটামুটি চার ধরনের অলিভ অয়েল পাওয়া যায়; ক্লাসিক বা ভার্জিন অলিভ অয়েল, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, অলিভ পোমেস অয়েল এবং লাইট ফ্লেভার অলিভ অয়েল। আমাদের প্রাত্যহিক রান্না-বান্নায় সয়াবিন বা সরিষার তেলের বিকল্প হিসেবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারি।

চলুন দেখে নিই বিভিন্ন প্রকার অলিভ অয়েলের পুষ্টিগুণ-

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল

এটি সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের অলিভ অয়েল। রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর জন্য আপনি এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। মাখনের বিকল্প আপনি হিসেবেও এটি খেতে পারেন। অন্যান্য ভেষজ তেলের তুলনায় এটি অধিক স্বাস্থ্যসম্মত। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল জলপাইয়ের আসল নির্যাস থেকে প্রস্তুত করা হয়। এবং এতে অলিক অ্যাসিডের পরিমাণও অনেক কম। একেবারে খাঁটি তেল হিসেবে আপনি এটি গ্রহণ করতে পারেন।

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে রয়েছে জিরো ক্যালোরি। ফলে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। রান্নায় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের ব্যবহার ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি দেহে ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে। পাশাপাশি এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য অপরিহার্য। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পলিফেনলস্ এবং ফ্যাট। এটি আমাদের দেহকে নানারকম রোগব্যাধি থেকে রক্ষা করে।

ক্লাসিক বা ভার্জিন অলিভ অয়েল

রান্না-বান্নায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ক্লাসিক অলিভ অয়েল। এতে এসিডের পরিমাণ অত্যন্ত কম। পাস্তা, স্টার-ফ্রাইড ভেজিটেবল বা রাইস তৈরিতে ক্লাসিক অলিভ অয়েলের বিকল্প নেই। এটি ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও ভালো কাজ করে। ফলে চুল ও ত্বকে ব্যবহারের জন্যও ক্লাসিক অলিভ অয়েল উপযোগী।

অলিভ পোমেস অয়েল

গন্ধহীনতা ও লঘু হলুদ রঙের কারণে অলিভ পোমেস রান্নার জন্য আদর্শ তেল। উচ্চ স্ফুটনাঙ্কের কারণে ডিপ ফ্রাইং-এর জন্য খুব ভালো এই তেল। পোলাও, পরোটা এমনকি পাকোড়া তৈরিতেও অলিভ পোমেস অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

লাইট ফ্লেভার অলিভ অয়েল

হালকা রং ও মৃদু গন্ধের জন্য সহজেই এই অলিভ অয়েল চিনতে পারবেন। এটি দিয়ে কন্টিনেন্টাল রান্না, ভাজি, রোস্ট বা বেকিং এমনকি যেকোনো রকম পদই অনায়াসে তৈরি করতে পারেন।

আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায়

বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের অলিভ অয়েল তেল কিনতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে কোনটি আসল কোনটি নকল সেটা বোঝা মুশকিল।  এছাড়া বিদেশি অনেক ব্র্যান্ডের প্রক্রিয়াজাত ও এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল পাওয়া যায়। চলুন, আসল তেল চেনার কিছু সাধারণ নিয়ম জেনে নেই।

  • বোতল: আসল অলিভ অয়েল সবসময় ডার্ক কাচের বোতলে স্টোর করা হয়। কারণ সূর্যালোক এর গুণ নষ্ট করে।
  • গন্ধ: আসল অলিভ অয়েলের একটা নির্দিষ্ট গন্ধ থাকে। একটি ছোট কাঁচের পাত্রে খানিকটা তেল স্প্রে করে তার মুখ আঁটকে দেয়া যেতে পারে। এরপর এতে সামান্য পরিমাণ তাপ প্রয়োগ করুন। পাত্রের ঢাকনা খুললে যদি এর সুগন্ধ আগের চেয়ে বেশি হয়, তবে বুঝতে হবে এটি এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। আর সুগন্ধ যদি কমে যায়, তাহলে বুঝে নিবেন এটি আসল এক্সট্রা ভার্জিন নয়।
  • স্বাদ: আসল তেলের স্বাদ একটু তিক্ত হয়।
  • ঘনত্ব: আসল তেল অন্যান্য তেলের তুলনায় ঘন হয়।
  • ফ্রিজ পরীক্ষা: ফ্রিজে রাখলে আসল অলিভ অয়েল জমাট বাঁধে। আপনার ব্যবহৃত তেলটি আসল কিনা এটা নির্ণয়ের জন্য ফ্রিজ টেস্ট অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। এজন্য একটি পাত্রে খানিকটা তেল নিয়ে ২ ঘন্টার জন্য ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। ফ্রিজ থেকে বের করার পর যদি দেখেন এটি জমে শক্ত হয়ে গেছে অথবা লিকুইড’ই আছে, তাহলে বুঝবেন এটি খাঁটি  নয়। তবে যদি দেখেন, হালকা জমে গেছে অথবা ঘন হয়ে আছে, তখন আপনি এটাকে খাঁটি ধরে নিতে পারেন।
  • লেবেল: এক্সট্রা ভার্জিন হলে বোতলের লেবেলে ‘Extra Virgin Olive Oil’ লেখা থাকতে হবে।
  • অ্যাসিডিটি: এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের অ্যাসিডিটি 0.8% এর কম হতে হবে।
  • রঙ: এক্সট্রা ভার্জিন তেলের রঙ হালকা সবুজ বা হলুদ হয়।
  • স্বাদ: এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের স্বাদ আরও বেশি তিক্ত হয়।
  • মূল্য: এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল অন্যান্য গুলোর চেয়ে দামি হয়।

উল্লেখ্য, উপরোক্ত উপায়গুলো 100% নির্ভরযোগ্য নয়। তবে এগুলো অনুসরণ করলে আসল ও এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কেনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

দীর্ঘদিন ব্যবহারের জন্য, সব সময় ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করুন। আর যদি অন্ধকার জায়গায় রাখতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই। খুব উচ্চ তাপমাত্রায় এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই, কোনোভাবেই এর শিশি উষ্ণ স্থানে ফেলে রাখা যাবে না। এভাবে নিয়ম মেনে অলিভ অয়েল সংরক্ষণ করলে তিন বছর পর্যন্ত এটি ভাল থাকবে।

 

কুর’আন ও হাদিসে অলিভ অয়েলের বর্ণনা

রাসূল (স.) নির্দেশ দেন, তোমরা জয়তুনের তেল(জলপাইয়ের তেল) খাও এবং শরীরে মাখো। কেননা, এটি আসে বরকতময় গাছ থেকে। (সহিহ তিরমিজি, আহমাদ)।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, ‘আর তিনি এ পানি দ্বারা তোমাদের জন্য উৎপাদন করেন বিভিন্ন রকম ফসল, জয়তুন (জলপাই), খেঁজুর, আঙুর ও সব ধরনের ফল। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। (সূরা : নাহল : ১১)

শুধু কোরআন ও হাদিস দ্বারাই এর উপকারিতা বা ব্যবহার প্রমাণিত নয়, বরং চিকিৎসা বিজ্ঞানেও এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা রয়েছে। যখন মানুষের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে চর্বি জমে, তখন হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। জয়তুন তথা অলিভ অয়েলের পুষ্টিগুণ হার্ট ব্লক হতে বাধা দেয়। তাছাড়া হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল মুখে মাখলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। জয়তুন তেল অ্যালার্জি প্রতিরোধেও সহায়তা করে। জয়তুনে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, যা ত্বকের ইনফেকশন ও অন্যান্য ক্ষত সারাতে অত্যন্ত কার্যকর।

 

অলিভ অয়েল তেল খাওয়ার সঠিক ও কার্যকরী নিয়ম

অলিভ অয়েল হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক, ত্বক ও চুলের জন্য ভালো। এটি  বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। তবে সঠিক ও কার্যকরী নিয়ম মেনে চললে এর সুফল পাওয়া যায়। অলিভ অয়েল খাওয়ার নিয়মগুলো হলঃ 

  • এটি কাঁচা খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। রান্নার সময় অতিরিক্ত গরম হলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
  • প্রতিদিন ২-৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল খাওয়া যেতে পারে। পুষ্টিবিদ অথবা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এর বেশি খাওয়া ঠিক না। 
  • সালাদ, স্যুপ, ভাত, ডাল, মাছ, মাংস ইত্যাদির সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
  • এর তেল দিয়ে রান্না করা যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত গরমে রান্না না করাই ভালো।
  • এটি ফ্রিজে রাখলে তা ঘন হয়ে যায়। তাই রুমের তাপমাত্রায় রাখা ভালো।

তবে, অলিভ অয়েল খাওয়ার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত।

  • যারা ওজন বেশি তাদের অতিরিক্ত অলিভ অয়েল খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে।
  • যাদের পিত্তথলির সমস্যা আছে তাদের খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • এতে অ্যালার্জি আছে কি না তা আগে থেকে জেনে নেওয়া উচিত।
  • অলিভ অয়েল কেনার সময় ভালো ব্র্যান্ডের অলিভ অয়েল কেনা উচিত।
  • এটি খোলা অবস্থায় বেশিক্ষণ রাখা উচিত নয়। কারণ এতে বাতাসের সংস্পর্শে এসে অক্সিডাইজ হয়ে যেতে পারে।

নিয়মিত ও সঠিকভাবে অলিভ অয়েল খেলে স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন সম্ভব।

 

বাচ্চাদের অলিভ অয়েল খাওয়ার নিয়ম

নিয়মিত ও সঠিকভাবে অলিভ অয়েল খাওয়ালে শিশুদের সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে।

  • ১ বছরের কম বয়সী শিশুদের অলিভ অয়েল খাওয়ানো উচিত নয়।
  • ১-২ বছর বয়সী শিশুদের প্রতিদিন ১ চা চামচ এই তেল খাওয়ানো যেতে পারে।
  • ২-৩ বছর বয়সী শিশুদের প্রতিদিন ১-২ চা চামচের বেশি খাওয়ানো উচিত নয়।
  • ৩ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের প্রতিদিন ২-৩ চা চামচ খাওয়ানো যেতে পারে।

শিশুদের সালাদ, স্যুপ, ভাত, ডাল, মাছ, মাংস ইত্যাদির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। অলিভ অয়েল দিয়ে শিশুদের জন্য রান্না করা যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত গরমে রান্না না করাই ভালো। শিশুদের অ্যালার্জি আছে কি না তা খাওয়ানোর আগে জেনে নেওয়া উচিত। নিয়মিত ও সঠিকভাবে অলিভ অয়েল খাওয়ালে শিশুদের সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে।

 

অলিভ অয়েলের দাম

অন্যান্য ভোজ্য তেলের তুলনায় অলিভ অয়েলের দাম খানিকটা বেশি। ব্যান্ডভেদে আন্তর্জাতিক বাজারে অলিভ অয়েলের মূল্যমানে তারতম্য লক্ষ করা যায়। দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে মেরিল অলিভ অয়েল বেশ জনপ্রিয় ও উপকারী। বাজারে প্রতি ১লিটার এক্সট্রা ভার্জিন অয়েলের দাম ১০০০ থেকে ১৩০০ টাকা। ক্লাসিক, পোমেস ও লাইট ফ্লেভার অলিভ অয়েল ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় পাওয়া যায়।

অলিভ অয়েল অপরিমেয় পুষ্টিগুণে ভরপুর। আমাদের শরীর সচল রাখতে এটি অত্যন্ত উপকারি রসদ। খাদ্যগুণ বিবেচনায় ভোজ্য তেল হিসেবে অলিভ অয়েলের চাহিদা এখন সর্বাধিক।

 

Source:

https://www.medicalnewstoday.com/articles/266258
https://food.ndtv.com/food-drinks/olive-oil-amazing-benefits-of-olive-oil-for-health-hair-skin-its-wonderful-uses-1736506?amp=1&akamai-rum=off
https://www.stylecraze.com/articles/amazing-benefits-of-olive-oil-that-you-never-knew/
https://feeds.aarp.org/health/healthy-living/info-2020/olive-oil-benefits.html?_amp=true
https://www.sclhealth.org/blog/2020/01/olive-oil-the-real-thing-has-real-benefits/
https://olivewellnessinstitute.org

আপনার পছন্দের লেখাগুলো নিয়মিত পেতে ইমেইল দিয়ে এখনি সাবস্ক্রাইব করুন।
সর্বশেষ পোস্টগুলো
আমার ওজন কমানোর গল্প

আমার ৩৪ কেজি ওজন কামানোর কথা

অনিদ্রা দূর করার উপায় । ১০ টি ঘরোয়া ঔষধ

আঁচিলের প্রাকৃতিক চিকিৎসা

আমার ওজন কমানোর খাবার তালিকা বা ডায়েট চার্ট

ওজন কমানোর প্রাকৃতিক ঔষধ

ওজন বাড়ানোর খাবার তালিকা

কফ বা কাশির প্রাকৃতিক চিকিৎসা

কোষ্টকাঠিন্য থেকে মুক্তির উপায়

গরম পানি খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা

ঘরে বসে খুশকি দূর করার সহজ ১০টি উপায় । খুশকি দূর করার প্রাকৃতিক শ্যাম্পু

চুল পড়া বন্ধের প্রাকৃতিক ঔষধ 

দ্রুত ওজন বারানোর উপায়

বমি দূর করার উপায় | বমি হলে করনীয়

ব্যায়াম ছাড়া ওজন কমানোর ৯ টি সহজ উপায়

মাসে ১০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট




Categories