প্রযুক্তি যেমন মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করে দিয়েছে, পাশাপাশি মানুষের শারীরিক কর্মক্ষমতাকেও নানাভাবে দুর্বল করে দিয়েছে। ফলে মানুষের মধ্যে স্থূলতার হার দিনে দিনে বেড়েই চলছে। হাজার হাজার মানুষ ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হওয়ার উপায় বা কি ঔষধ খেলে ওজন কমে এ নিয়ে নানান পরামর্শ খোঁজে।
তথ্য সূচী দেখুন
Toggleচিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে সঠিক বা স্বাভাবিক ওজন নির্ধারণ করা হয় দেহের উচ্চতার অনুপাত অনুসারে। সে তুলনায় আপনার ওজন বেশি হলে আপনি মোটা আর কম হলে চিকন বা ওজনহীন। শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ফ্যাট বা চর্বি থাকলে ওজন বেড়ে যায়। খাদ্য গ্রহণের তুলনায় পরিশ্রমের মাধ্যমে খাদ্যগুন গুলো কম খরচ করার কারণে সেসব শরীরে জমা হতে থাকে এবং দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়।
অতিরিক্ত ওজন বা মোটা হওয়া মানসিক অশান্তির একটি কারণ। কেননা এটা মানবদেহের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর। শরীরে জমে থাকা বাড়তি চর্বি যেকোন মুহূর্তে একটি রোগে রূপান্তরিত হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস, হার্ট এটাক এর মত মরণ ব্যাধি হতে পারে। মুটিয়ে যাওয়ার কারণে একঘেয়েমি, বিষাদগ্রস্ততা, রাগ, পরিশ্রম করার অনীহা, খাদ্য নিয়ন্ত্রণে অনীহার প্রবণতা বেড়ে যায়। যাইহোক, নিচের ওজন কামানোর প্রাকৃতিক ঔষধগুলো আপনাকে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
অতিরিক্ত ওজন বাড়ার কারণ
নানা কারণে ওজন বেড়ে যায়। অতিরিক্ত মদ পান, বংশীয় সমস্যা, অলস জীবনযাপন, মানসিক দুশ্চিন্তায় ভোগা, অতিরিক্ত পানাহার, বেশি বেশি জাঙ্ক ফুড গ্রহণ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, অনিদ্রা, গর্বধারণ এবং কিছু ঔষধ গ্রহণের কারোনে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে।
অতিরিক্ত ওজন বাড়ার লক্ষণ
অতিরিক্ত ওজন বাড়ার লক্ষণগুলো- অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট অনুভব করা, পিঠে ব্যাথা, হাড়ের যোগস্থলে ব্যাথা, অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়া, নাক ডাকা, অনিদ্রা এবং শরীরের নানা অঙ্গ মুটিয়ে যাওয়া, যেমনঃ কোমর-ঊরুর প্রস্থ বেড়ে যাওয়া, মেয়েদের স্তন ঝুলে পড়া ইত্যাদি।
দ্রুত ওজন কমাতে আরো পড়ুন
![ওজন কমানোর ঔষধ](https://i0.wp.com/sustho.com/wp-content/uploads/2019/08/ওজন-কমানোর-ঔষধ.jpg)
ওজন কামানোর প্রাকৃতিক ঔষধ
ছেলেরা ওজন কমানোর জন্য অনেকেই প্রাকৃতিক ঔষধ ব্যবহার করে থাকেন। এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। তাই সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এগুলো নিরাপদ এবং কার্যকর হতে পারে।
এখন আমরা জনপ্রিয় কিছু ঔষধ নিয়ে আলোচনা করবো। আমরা আলোচনা করবো কিভাবে এই এগুলো কাজ করে, কোনগুলো আপনার জন্য ভাল হতে পারে এবং কোনগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ঔষধ হিসেবেও এগুলো কার্যকরী।
ওজন কামানোর ভেষজ পানীয়
প্রথমেই আমরা পানীয় সম্পর্কে জেনে নেই। এই পানীয়গুলো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং আমাদের নিত্য দিনের ব্যবহৃত খাদ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত। তাই এসবে কোন পার্শ প্রতিক্রিয়া নেই এবং যে কেউ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই এগুলো খেতে পারবেন।
১। মধুর সাথে আদার রসঃ মধুর উপকারিতা সবার জানা। আরো জেনে আশ্চার্য হবেন যে, মধু আদার রসের মিশ্রণে তৈরি ঔষধ ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকরী। দিনে দুইবার করে এই মিশ্রণ গ্রহণ আপনাকে ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করবে। মধুতে থাকা ফলশর্করা (Fructose) যা যকৃতের চালিকা শক্তি দ্রাক্ষা-শর্করা বা গ্লুকোজ তৈরি করে এবং দেহে ওজন কমানোর হরমোনগুলোকে ছড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে আদা পরিপাক যন্ত্রের জার্মগুলো কে মেরে ফেলে, বার বার ক্ষুদা লাগা দূর করে এবং এটা মেটাবলিজম বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ৩ টেবিল চামচ মধুর সাথে ২ টেবিল চামচ আদা হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে দিনে দুইবার পান করুন।
২। মধু এবং দারুচিনীঃ মধু এবং দারুচিনীর কার্যক্ষমতা বলে শেষ করা যাবে না। মধু খেতেই শুধু সুস্বাদু নয়, এটা দেহের হজমক্রিয়ার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। দারচিনী রক্তচাপকে স্থির রাখে। দেহে ওজন কমানোর হরমোনের রস বৃদ্ধি করে এবং মস্তিষ্ককে ওজন কমানোর বার্তা পাঠায়। দারচিনী দেহকে সক্রিয় করে মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। এক গ্লাস পানিতে ১ চলা দারচিনী নিয়ে চুলায় দিন। ১৫ মিনিট ফুটন্ত পানিতে রাখুন। এরপর নামিয়ে পানি ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হওয়ার পর ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।
৩। লেবু, মধু এবং গোল মরিচের মিশ্রনঃ ওজন কমাতে লেবুর গুনাগুণ খুব প্রসিদ্ধ। লেবু, মধু এবং গোল মরিচের মিশ্রণ ভারতীয় উপমহাদেশের একটি জনপ্রিয় প্রাকৃতিক চিকিৎসা। কেননা এসব উপাদানই রান্নাঘরে সবসময় পাওয়া যায়। লেবুতে এক ধরনের যৌগ-পদার্থ আছে সেটা বার বার ক্ষুদা লাগা দূর করে। গোল মরিচ দেহে নতুন চর্বি কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে এবং রক্তকণিকায় থাকা চর্বি কমিয়ে ফেলে। ১ গ্লাস কুসুম পানির সাথে ১ টেবিল চামচ পানি, ১ টেবিল চামচ গোল মরিচের গুঁড়া, ৪ টেবিল চামচ লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে পান করুন।
৪। গ্রীন টিঃ ওজন কমাতে গ্রীন চা অনেক জনপ্রিয় এবং পরিচিত। গ্রীন চা চায়ে অনেক শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা শরীরে জমে থাকা শক্ত চর্বি গলিয়ে ফেলে। চিনি ছাড়া পান করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। ওজন কমানোর জন্য দিনে ৩-৪ কাপ চা পান করবেন।
৫। গরম পানিঃ গরম পানি খাওয়ার নানা উপকারিতা আছে। পানি রক্ত থেকে চর্বিগুলো বের করে ফেলে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এবং পরে নিয়মিত গরম পানি পান করুন। খাওয়া শেষ হওয়ার সাথে সাথে পানি পান করবেন না। এখন থেকে ঠান্ডা পানি বাদ দিয়ে গরম পানি খাওয়া শুরু করুন।
৬। ভিনেগারঃ ভিনেগার বা সিরকা ওজন কমাতে দারুণ কার্যকরী। লেবুর মত ভিনেগারও রক্তকণিকায় থাকা চর্বি দূর করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটা দেহের চর্বি কোষগুলোকে মেরে ফেলে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। ভিনেগারের সাথে লেবুর রস যোগ করলে সেটার কার্যকারিতা বাড়ার পাশাপাশি স্বাদও বাড়িয়ে দেয়। এক গ্লাস পানির সাথে ১ টেবিল চামচ ভিনেগার এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে দিনে ২ বার পান করুন।
৭। জিরা ও লেবুর পানি: এই রিফ্রেশিং পানীয়টি আপনার হজম উন্নত করতে এবং বিপাক বাড়াতে সাহায্য করে। এটি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখে।
উপকারিতা:
- জিরা হজম উন্নত করে এবং বিপাক ক্রিয়া বাড়ায়।
- লেবুর ভিটামিন সি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে।
- লেবুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ওজন কমাতে সাহায্য করে।
প্রস্তুত প্রণালী: এক চা চামচ জিরা রাত পুরো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
পরের দিন সকালে জিরা ফুটিয়ে ছেঁকে নিন।লেবুর রস, মধু (ঐচ্ছিক) মিশিয়ে খান।
৮। ধনিয়ার পানি: ধনিয়ার পানি হজমশক্তি উন্নত করতে এবং পেট ফাঁপা কমাতে সহায়ক। এটি প্রদাহ কমাতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
উপকারিতা:
- ধনিয়া হজম উন্নত করে এবং পেট ফোলা কমায়।
- ধনিয়ার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ওজন কমাতে সাহায্য করে।
প্রস্তুত প্রণালী: এক টেবিল চামচ ধনিয়া বীজ রাত পুরো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।পরের দিন সকালে ধনিয়া ফুটিয়ে ছেঁকে নিন।
৯। হলুদ দুধ: হলুদ দুধ হল একটি প্রাচীন ভেষজ পানীয় যার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলী রয়েছে। এটি ঠান্ডা, কাশি এবং গলা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
উপকারিতা:
- হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- হলুদ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- দুধে থাকা প্রোটিন ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে।
প্রস্তুত প্রণালী: এক গ্লাস দুধে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন।
ঐচ্ছিক: মধু, দারুচিনি, এলাচ মিশাতে পারেন।
সতর্কতা:
- গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের এই পানীয়গুলো খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
- যেকোনো পানীয় দীর্ঘদিন ধরে খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
- ওজন কমানোর জন্য শুধু পানীয় খাওয়া যথেষ্ট নয়, নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসও জরুরি।
ওজন কামানোর সবজি
সবজি ওজন কমানোর উপায় ঔষধ হিসেবে বিবেচিত এবং খুবই উপকারী। এগুলোতে ক্যালোরি কম থাকে এবং ফাইবার বেশি থাকে। ফাইবার আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে। চলুন, আমরা ওজন কমানোর জন্য কিছু সেরা সবজি নিয়ে আলোচনা করবো। আমরা আলোচনা করবো কিভাবে এই সবজিগুলো আপনার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
১। কপি জাতীয় সবজিঃ ওজন কমানোর খাদ্য তালিকায় ফলমূল এবং শাকসবজির স্থান সবার উপরে। সবজির মধ্যে কপি জাতীয় সবজি সব চেয়ে বেশি কার্যকরী। দৈনন্দিন খাদ্যে নিয়মিত ফুলকপি ও বাঁধাকপি রাখুন। সালাদের মধ্যেও ফুলকপি কুচি করে দিতে পারেন। এ সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং খুব সামান্য ক্যালরি আছে। এতে থাকা টারটারিক এসিড চিনি এবং কার্বহাইড্রেডকে চর্বিতে রূপান্তরিত হতে দেয় না। কপিতে থাকা ভিটামিন এ এবং সি হৃদরোগ এবং ক্যান্সার সাড়াতে খুব কার্যকরী।
২। শসাঃ শসা দেহের চর্বি কমাতে অনেক পরিচিত এবং প্রসিদ্ধ একটু ঔষধ। একটি শসায় ৯০ শতাংশ পানি এবং ১৩.২৫ ক্যালরি থাকে। যা দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং তরল পদার্থের পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দেয়। শসায় থেকে ভিটামিন এ, সি এবং ই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং সুস্থ সবল রাখে।
৩। লাউ জাতীয় সবজিঃ লাউয়ে পুরোটাই ফাইবার এবং পানি দিয়ে ভরা। এতে সামান্য ফ্যাটও নেই। এটা অনেকক্ষণ পেটকে ভরিয়ে রাখে ফলে তাড়াতাড়ি ক্ষুদা লাগে না। তরকারিতে নিয়মিত লাউ খাওয়ার পাশাপাশি লাউয়ের জুস করেও খেতে পারেন।
ওজন কামানোর ভেষজ ঔষধ
ভেষজ বা আয়ুর্বেদী ঔষধ ওজন কমানোর জন্য একটি প্রাকৃতিক উপায় হতে পারে। তবে সব ভেষজ ঔষধ সকলের জন্য উপকারী নয়। কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকতে পারে। আমরা আলোচনা করবো কিভাবে এই হারবাল ঔষধগুলো কাজ করে, কোনগুলো আপনার জন্য উপকারী হতে পারে এবং কোনগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।
সতর্কতাঃ চিকন হওয়ার ঔষধ বিশেষকরে ওজন কমানোর এলোপ্যাথিক ঔষধ সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। নতুবা মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
১। জিনসেংঃ জিনসেং একটি গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ। চীনে ওজন কমানোর নিরাপদ ঔষধ হিসেবে এটা অনেক জনপ্রিয়। বাজারে জিনসেংয়ের চা পাওয়া যায়। এটা শরীরে জমে থাকা চর্বিগুলোকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং নতুন করে কোন চর্বি কোষ জমতে দেয় নায়। জিনসেং সেবন করার সব চেয়ে ভাল উপায় হল গরম পানির সাথে লেবু এবং মধু মিশিয়ে। ১ টেবিল চামচ জিনসেংয়ের সাথে এক কাপ পানি এবং পরিমাণ মত লেবু এবং মধু মিশিয়ে চায়ের মত করে দিনে ২ বার পান করুন।
২। ওজন কমানোর আয়ুর্বেদিক ঔষধ: আয়ুর্বেদ, ভারতের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি। নানা গুণাগুণ সম্পন্ন গাছ-লতাপাতার সমন্বয়ে তৈরি এই ওজন কমানোর ওষুধের ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। এই ঔষধগুলো প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি এবং দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। চলুন, বাজারে পাওয়া কিছু ওজন কমানোর ঔষধের নাম জেনে নেইঃ
১। লোফ্যাট (বড়বাগ্নি রস)
২। হাল্যাক্স (তিনকার)
৩। ফ্যাট রিডিউসার (হাব্বে তিনকার)
৪। লিফিট (কুরছ মুহাযযিল)
৫। স্লিমোরেক্স (কুরছ মুহাযযিল)
৬। কৃশক্যাপ
৭। নবীন চিরতা
৮। আয়ুরস্লিম
৯। ফরএভার গারছিনা প্লাস
১০। সুপার স্লিমিং হার্ব ডায়েট পিলস
উপকারিতা:
- আয়ুর্বেদিক ঔষধগুলো সাধারণত রাসায়নিক মুক্ত এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।
- অনেক আয়ুর্বেদিক ঔষধ হজম উন্নত করে এবং বিপাক ক্রিয়া বাড়ায়।
- কিছু আয়ুর্বেদিক ঔষধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।
- কিছু ঔষধ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে যা ওজন বৃদ্ধির একটি কারণ হতে পারে।
অপকারীতা ও সতর্কতা:
- কিছু আয়ুর্বেদিক ঔষধ সকলের জন্য উপযুক্ত নয়। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের ঔষধ ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
- কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের পূর্বে ডাক্তারের অবশ্যই একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- ঔষধ ব্যবহারের পূর্বে ঔষধের গুণাগুণ এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত।
উল্লেখ্য:
উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো সাধারণ ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি।
কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
উপরের নির্দেশনাগুলোকে আমি ওজন কমানোর সেরা হারবাল ঔষধ বা সবচেয়ে ভাল ঔধধ বলব না। কারণ শুধু এগুলো ব্যবহার করেই আপনি মোটা থেকে চিকন হতে পারবেন এমনটা ভাবা ঠিক না। তবে নিয়মিত গ্রহণ করার পাশাপাশি ৩০-৪০ মিনিট ব্যায়াম করলে খুব দ্রুত ফল পাওয়া যাবে। ঔষধগুলো দ্রুত কার্যকরী করতে ক্যালরি হিসেব করে খাবেন এবং আপনার পক্ষে যত বেশি সম্ভব পানি খাবেন। মনে রাখবেন ১০ দিন বা এক মাসে আপনার ওজন বাড়েনি, তাই এটা এত তাড়াতাড়িও কমবে না।
সর্বশেষ পোস্টগুলো
Categories
Author
-
একজন ওয়েব অন্ট্রাপ্রেনিয়ার, ব্লগার, এফিলিয়েট মার্কেটার। ২০১২ সাল থেকে অনলাইনে লেখালেখি নিয়ে কাজ করছেন। ২০১৫ সালে সঠিক ডায়েট ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ৩৪ কেজি ওজন কমিয়েছেন।
6 Comments
ভাই আমার ওজন কমাতে চাই কি করে কমাবো জানতে পারি কি ভাই
আমার ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট অনুসরণ করুন।
Brother, I want to know how to reduce my belly fat or fat and weight
Follow my weight loss diet chart stricktly.
ওজন কমানোর প্রাকৃতিক পন্থা নিয়ে চমৎকার একটি ব্লগ লিখেছে। এই ধরণের আরও লেখা চাই। “মেয়েদের ওজন কমানোর খাবার তালিকা” নিয়ে আমার একটি লেখা রয়েছে পড়ে দেখতে পারেন।
লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। সময় পেলে অন্যান্য লেখাগুলো পড়ে কোন পরামর্শ থাকলে মন্তব্যে লিখবেন। আপনার ব্লগটি দেখলাম। ভাল হয়েছে।